1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ: গ্রুপ ‘ডি’-তে জার্মানির প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?

৫ ডিসেম্বর ২০০৯

২০১০ সালের ১৩ই জুন ডার্বানে জার্মানির প্রথম খেলা, অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে৷ কিন্তু তার পরেও আছে সার্বিয়া এবং ঘানা৷ গ্রুপটা সহজ না শক্ত, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা মাথা ঘামাচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/Kr20
বিশ্বকাপের ড্র’তে ইওয়াখিম লোয়েভছবি: picture alliance / dpa

কিন্তু গ্রুপের কোনো খেলাই যে ঠিক ওয়াক-ওভার হবে না, কোচ ইওয়াখিম লোয়েভ তা জানেন৷

২০০৫ সালে শেষ অস্ট্রেলিয়া-জার্মানি খেলার কথা লোয়েভের ভালোই মনে আছে: ‘‘সেটা ছিল কনফেডারেশনস কাপের উদ্বোধনী খেলা৷ আমরা জিতি ৪-৩ গোলে৷ এবারও অস্ট্রেলিয়া তাদের কোয়ালিফিকেশন গ্রুপে জাপানের আগে রয়েছে৷ আমাদের পক্ষে ওটা একটা গুরুত্বপূর্ণ খেলা হবে, টুর্নামেন্টে আমাদের প্রথম খেলা, কাজেই জিততে হবে৷’’ - মনে রাখা দরকার, অস্ট্রেলিয়া এই প্রথম একটি এশীয় গ্রুপ থেকে কোয়ালিফাই করেছে৷ ইতিপূর্বে তাদের ওসিয়ানিয়া কোয়ালিফিকেশনের বিজয়ী হিসেবে প্রতিবারেই দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দলের বিরুদ্ধে প্লে-অফে যেতে হয়েছে, যার ফল হয়েছে এই যে, অস্ট্রেলিয়া ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের পর ছ’বার ব্যর্থ হয়েছে৷ ২০০৬ সালের বিশ্বকাপের পর তারা নিজের ইচ্ছায় এশীয় কোয়ালিফিকেশনে যায়৷

অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্স ভালো৷ কোয়ালিফিকেশনের প্রথম ছ’টি খেলায় ‘‘সকারু’’-রা একটিও গোল খায়নি৷ পুরো আটটা খেলার পর তাদের স্কোর: ছ’বার জিত, দু’টি ড্র এবং ১২ বনাম একটি গোল৷ এর ফলে অস্ট্রেলিয়া স্বচ্ছন্দে জাপানের আগে গ্রুপ বিজয়ী হয়৷ ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপে ‘‘আউসি’’-রা অপ্রত্যাশিতভাবে কোয়ার্টার ফাইনালের দোরগোড়ায় পৌঁছয় এবং পরবর্তীতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইটালির কাছে ১-০ গোলে হারে৷

এ’ সার্বিয়া সে সার্বিয়া নয়

১৮ই জুন পোর্ট এলিজাবেথে জার্মানি খেলবে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে৷ ২০০৬ সালে জার্মানিতে বিশ্বকাপে সার্বিয়া কিছুটা হতাশ করেছিল, অবশ্য মন্টেনিগ্রোর সঙ্গে একত্রে৷ তিনটি খেলায় হেরে সোজা স্বগৃহে প্রত্যাবর্তন, তার মধ্যে আবার আর্জেন্টিনার কাছে ৬-০ গোলে হার৷ এবার কিন্তু সার্বরা কোয়ালিফিকেশনেই দেখিয়ে দিয়েছে যে তাদের গর্ব ফিরে এসেছে৷ ফ্রান্সকে পিছনে ফেলে দিতেও কোনো অসুবিধে হয়নি সার্বিয়ার৷ কাজেই জার্মান কোচ ইওয়াখিম লোয়েভকে বলতে শোনা গেছে: ‘‘সার্বদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আছে৷ ওদের ভালো ফুটবলার আছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এর ভিদিচ, স্টানকোভিচ, যে ইটালিতে খেলে৷ সব মিলিয়ে একটি অতি উঁচুদরের দল৷’’ - সত্যি কথাই: সার্বদের টেকনিক এবং অফেন্স অতীব উমদা, ওদের প্লেয়াররা সারা ইউরোপে পেশাদার৷ তায় আবার খোদ বুন্ডেসলিগা অভিজ্ঞতার কোনো অভাব নেই: হের্থার গয়কো কাচার, স্টুটগার্টের স্দ্রাভকো কুজমানোভিচ অথবা ডর্টমুন্ডের নেভেন সুবোটিচ৷ এবং এদেরই জার্মান একাদশের ম্যানেজার অলিভার বিয়ারহোফের বিশেষ ভয়, কেননা ‘‘তারা জার্মান দর্শকদের দেখাতে চাইবে৷ তার সঙ্গে আবার যুক্ত হবে জাতীয় গর্ব৷’’

হেলমুট রানের প্র-ভাগিনেয়!

২৩শে জুন জোহান্নেসবার্গে ঘানার বিরুদ্ধে জার্মানদের খেলা৷ ঘানাই প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে ২০১০-এর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে৷ চারটি খেলায় না হার, না কোনো বিপক্ষের গোল৷ এবং ঘানার ক্ষেত্রেও ম্যানেজার বিয়ারহোফের ভয় সমগ্র আফ্রিকার ঐ প্রেরণাকে, এ’তো শুধু একা ঘানার গর্ব নয়৷ ২০০৬-এর পরে ঘানা এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপে৷ জার্মানির বিশ্বকাপে আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ঘানা কোয়ার্টার ফাইনালের আগের পর্যায়ে পৌঁছেছিল৷ এবং সেখানে হেরেও ছিল ব্রেজিলের কাছে ৩-০ গোলে৷ তবে সেবার মাইকেল এসিয়্যাঁ’র একটা ব্যান চলছিল৷ জার্মান কোচ লোয়েভের মতে আফ্রিকার তিনটি সেরা দল হল আলজিরিয়া, ঘানা এবং আইভরি কোস্ট৷ এবং ঘানাতেও বুন্ডেসলিগা অভিজ্ঞতার কোনো অভাব নেই: লেভারকুজেনের হান্স সারপেই, তো হফেনহাইমের আইজাক ফরসা এবং প্রিন্স টাগোয়ে৷ এবং অবশ্যই ডর্টমুন্ডের প্রাক্তন খেলোয়াড় কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং, যার সৎ ভাই জেরোম বোয়াটেং হল জার্মান জাতীয় একাদশের খেলোয়াড়৷ তার ওপর আবার কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং হল হেলমুট রান-এর এক প্র-ভাগিনেয়, যে হেলমুট রান ১৯৫৪ সালে বার্নে হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির সেই জয়ের গোলটি করেছিলেন - ৩-২৷ এ’কে বলে ইতিহাস৷

প্রতিবেদক: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী, সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম