বিলুপ্ত শহর আনি
আর্মেনীয়-তুর্কি সীমান্তের তুর্কি তরফে রয়েছে মধ্যযুগীয় শহর আনি৷ এই পরিত্যক্ত শহরটি আর্মেনীয়দের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের প্রতীক৷
‘প্রবেশ নিষেধ’
তুরস্কের কার্স প্রদেশে আখুরিয়ান নদীর উপত্যকায় অবস্থিত আর্মেনীয় শহর আনি ছিল পূর্ব-পশ্চিম বাণিজ্যপথের মধ্যমণি৷ সপ্তম শতাব্দীতে নির্মিত নগরদুর্গটি থেকে তুর্কি-আর্মেনীয় সীমান্ত দেখা যায়৷ নোটিস দেওয়া রয়েছে, এলাকাটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ৷
বুনো ঘোড়ার পাল
এককালে এই শহরে ছিল এক লক্ষ মানুষের বাস৷ তিনশো বছর আগে পরিত্যক্ত শহরটি ভূমিকম্প, খননকার্য এবং দস্যুতার শিকার হওয়ার পর তার প্রাসাদ, দুর্গ ও ভবনগুলি ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ছে৷
কিংবদন্তির রাজ্য
দশম এবং একাদশ শতাব্দীতে আনি ছিল একটি আর্মেনীয় রাজ্যের রাজধানী৷ আধুনিক আর্মেনিয়া এবং তুরস্কের পূর্বাংশ জুড়ে ছিল সেই রাজ্য, যাকে আর্মেনীয়রা তাদের জাতীয় ঐতিহ্য ও সত্তার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ বলে গণ্য করে৷
সিংহদুয়ার
এই ‘লায়ন গেট’ সম্ভবত ছিল শহরের মূল তোরণ৷ পথটি শহরের কেন্দ্র থেকে নগরদুর্গ অবধি উঠে গেছে৷ ১৯৯৬ সালে পুনর্নির্মাণের সময় প্রাচীর, দালান ও তোরণের অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷
বড় রাস্তা
আনি-র মূল রাজপথটি সিংহদুয়ার থেকে নগরদুর্গের দিকে গেছে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগেই এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যে একটি সুপ্রাচীন পানি সরবরাহ ব্যবস্থা আবিষ্কৃত হয়, যা মাটির নীচ দিয়ে চলে গেছে৷
‘এক হাজার এক গির্জার শহর’
আনি-কে এককালে বলা হতো ‘এক হাজার এক গির্জার শহর’৷ সন্ত গ্রেগরির গির্জাটি দশম শতাব্দীর শেষদিকে তৈরি হয়৷ গির্জাটি মালভূমির শেষ প্রান্তে, নীচে উপত্যকা এবং নদী৷
গ্র্যাফিটির উপদ্রব
চার্চ অফ সেন্ট গ্রেগরি-র ভিতরটা সেই আমলের দেয়ালচিত্র দিয়ে ঢাকা৷ কিন্তু গ্র্যাফিটির উপদ্রবে ফ্রেস্কোগুলির দৈন্যদশা৷
দূর থেকে নজরদারি
শহরের দক্ষিণ প্রান্তে খাড়া ক্যাথিড্রালটি তৈরি হয় ১০০১ সালে৷ দূরে একটি রুশ ওয়াচটাওয়ার থেকে আর্মেনীয় প্রহরীরা তুর্কি সীমান্তের দিকে নজর রেখেছে৷
বণিকের গির্জা
সেন্ট গ্রেগরি গির্জাটি তৈরি করান টিগ্রান হোনেন্টস নামের এক ধনী ব্যবসায়ী৷ নির্মাণকার্য সমাপ্ত হয় ১২১৫ সালে৷
দেয়ালচিত্র
সন্ত গ্রেগরির গির্জার অভ্যন্তরে সব প্রাচীর-প্রাকার চিত্রাঙ্কনে পরিপূর্ণ৷ ফ্রেস্কোগুলির দু’টি মূল বিষয়বস্তু হল খ্রিষ্টের ও সেন্ট গ্রেগরি-র জীবন৷
চারণভূমি
মিনুচিহর মসজিদের কাছে গরুর পাল চরে বেড়াচ্ছে৷ মসজিদটি নগরদুর্গ আর ক্যাথিড্রালের মাঝামাঝি৷ নির্মাণ করেছিলেন শাদ্দাদিদ বংশের প্রথম আমীর মিনুচিহর৷ একাদশ শতাব্দীতে শাদ্দাদিদ-রা আনি-র নৃপতি ছিলেন৷