বিমানে চড়ার আগে আপনার এসব জানা উচিত
বিশ্বব্যাপী বিমানযাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে৷ ব্যবসা করতে হোক, কিংবা লেখাপড়া বা ঘুরতে যাওয়া, মানুষের বিমানে চড়া বেড়েছে৷
পরিবেশের ক্ষতি করে স্বপ্নের গন্তব্যে
অনেক জার্মানের পছন্দের গন্তব্য এখন মালদ্বীপ৷ জার্মানি থেকে মালদ্বীপের দূরত্ব প্রায় আট হাজার কিলোমিটার৷ একটি বিমান এতখানি পথ গিয়ে আবার ফিরে আসতে অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে৷ যাত্রীপিছু সেই পরিমাণ পাঁচ টনের বেশি বলে জানিয়েছে জার্মানির পরিবেশ সংস্থাস ইউবিএ৷ মাঝারি আকারের একটি গাড়ি ২৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলে এই পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়৷
শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইড নয়
আকাশ দিয়ে বিমান যাওয়ার সময় পেছন থেকে সাদা ‘মেঘ’ বের হতে নিশ্চয় দেখেছেন৷ ইঞ্জিন থেকে বের হওয়া প্রচণ্ড গরম বাতাস বাইরের ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে মিশে এমন মেঘ তৈরি হয়৷ এই মেঘ নীচের ভূমি শীতল কিংবা উষ্ণ করতে পারে৷ এছাড়া বিমান থেকে নির্গত হওয়া নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণেও বিশ্ব উষ্ণ হয়ে উঠতে পারে৷
বিমান ওঠানামায় সমস্যা
বিমানবন্দরের কাছে যাঁদের বাড়ি তাঁরা বিমান ওঠানামার কারণে নানান সমস্যায় পড়েন৷ যেমন বিমানের বিকট শব্দে মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে৷ এছাড়া শিশুরা কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যায় পড়ে৷ আর নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণে স্থানীয় বায়ুর গুণও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
করমুক্ত জ্বালানি
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিমান চালাতে ব্যবহৃত তেলের উপর কোনো কর নেই৷ জার্মানির বাইরে আসা-যাওয়া করা ফ্লাইটও জার্মানির ভ্যাটের আওতামুক্ত৷ ফলে ২০১২ সালে ৪.৭ বিলিয়ন ইউরোর বেশি কর আয় থেকে জার্মানি বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবেশ সংস্থা ইউবিএ৷ অর্থাৎ পরিবহনের সবগুলো মাধ্যমের মধ্যে বিমান চলাচল সবচেয়ে বেশি করসুবিধা পেয়ে থাকে৷
নতুন সাম্রাজ্যবাদ?
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ বিমানে চড়েন বা চড়েছেন৷ ‘স্টে গ্রাউন্ডেড’ নামের এক সংস্থা জানিয়েছে, ধনী ও শিক্ষিত মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ, যাঁরা নিয়মিত বিমানে চড়েন, তাঁরা বিমান চলাচলের কারণে যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়, তার ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী৷