বিমানবন্দর নয়, মহাকাশ বন্দর
বৃহস্পতিবারের লঞ্চের পর, মহাকাশযাত্রার জন্য বিশ্বে যে ২০টির বেশি মহাকাশ বন্দর আছে, তাদের তালিকায় যোগ হলো রাশিয়ার আনকোরা স্পেসপোর্ট ভসটচনি৷
সফল সূচনা
সাইবেরিয়ার অভ্যন্তরে রাশিয়ার নতুন মহাকাশ বন্দর ভসটচনি থেকে একটি সয়ুজ রকেট আকাশে উঠছে৷
মাত্র চার বছরে তৈরি
বহুদিন ধরেই রাশিয়া ভাবছে, একটা নতুন স্পেসপোর্ট তৈরি করার কথা৷ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় ২০০৭ সালে; নির্মাণকার্য শুরু ২০১২ সালে৷ গত আগস্ট মাসেও সাইটটা দেখতে লাগছিল এইরকম...৷
লিফ্ট-অফ
ভসটচনির লঞ্চ প্যাড৷ এখান থেকে আপাতত শুধু সয়ুজ রকেট উড়তে পারে৷ ২০২৩ সাল থেকে আঙ্গারা রকেট আরোহী সমেত এখান থেকে ওড়ার অনুমতি পাবে৷
কাজাকস্তানের বাইকানুর
গত ছয় দশক ধরে রাশিয়া তার অধিকাংশ রকেট কাজাকস্তানের বাইকানুর থেকে লঞ্চ করে আসছে৷ সোভিয়েত রাশিয়ার পতন যাবৎ বাইকানুর মহাকাশ বন্দর ব্যবহারের জন্য রাশিয়াকে বছরে ১১৭ মিলিয়ন ডলার, অর্থাৎ ১০৪ মিলিয়ন ইউরো করে দিতে হতো৷
কুরু-তে গিয়ানা স্পেস সেন্টার
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি ইএসএ-র নিজের স্পেসপোর্ট রয়েছে ফ্রেঞ্চ গিয়ানায়৷ এলাকাটি দক্ষিণ অ্যামেরিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব উপকূলে৷ কুরু বিষুবরেখার খুব কাছে৷
কেপ কানাভেরাল
মার্কিন বিমানবাহিনী তাদের রকেট ছাড়ে ফ্লরিডা কেপ কানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন থেকে৷ এর কাছেই রয়েছে নাসার মহাকাশ বন্দর কেনেডি স্পেস সেন্টার৷
জাপানের তানেগাশিমা
জাপানি মহাকাশ সংস্থা (জেএএক্সএ) নির্জন তানেগাশিমা দ্বীপে তাদের স্পেসপোর্ট রেখেছে৷
চীনের জিউচুয়ান
চীনের সবচেয়ে পুরনো ও বৃহত্তম স্পেসপোর্টটি খোলা হয় ১৯৫৮ সালে৷ ইনার মঙ্গোলিয়ার গানসু প্রদেশের জিউচুয়ান শহরের কাছে এই মহাকাশ বন্দর৷ চীনের মোট তিনটি স্পেসপোর্ট আছে৷
ভিতরটা দেখতে কেমন?
আচ্ছা, এই স্পেসপোর্টগুলোর সুবিশাল হলগুলো ভেতর থেকে দেখতে কেমন লাগে? ধরা যাক চীনের জিউচুয়ান মহাকাশ বন্দর৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটি মহাকাশযান কিভাবে রকেটের ওপর বসানো হচ্ছে৷