1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিবিসি-র তথ্যচিত্র নিয়ে জেএনইউতে অশান্তি

২৫ জানুয়ারি ২০২৩

নরেন্দ্র মোদী ও গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত জেএনইউ। নেট ও বিদ্যুৎ বন্ধ করা হলো।

https://p.dw.com/p/4Meu9
জেএনইউ-তে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রদর্শন
ছবি: Imtiyaz Khan/AA/picture alliance

তারপরেও ছাত্রছাত্রীরা ক্যান্টিনে গিয়ে মোবাইল ফোনে ওই তথ্যচিত্র দেখে। বামপন্থি ছাত্রসংগঠন এসএফআইয়ের সভাপতি ঐশী ঘোষ এনডিটিভি-কে বলেন, ''আমরা ক্যান্টিনে গিয়ে কিউআর কোড ব্যবহার করে তথ্যচিত্র দেখব''। ছাত্রছাত্রীরা যখন ক্যান্টিনে এই তথ্যচিত্র দেখছিলেন, তখন ঢিল মারা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে এসএফআই-এর পশ্চিমবঙ্গ শাখাও জানিয়েছে, রাজ্যজুড়ে সমস্ত কলেজে এই তথ্যচিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো দিন জানানো হয়নি।

বিবিসি২-তে এই তথ্যচিত্র দেখানো হয়েছে। ভারতে বিবিসি২ দেখানো হয় না। ভারতে প্রশাসন এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক শেয়ার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই অবস্থায় জেএনইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, তারা কোনোভাবেই ক্যাম্পাসে তথ্যচিত্র দেখানোর অনুমতি দেবেন না।

কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের দাবি ছিল, তারা কোনো আইনভঙ্গ করছে না। এই তথ্যচিত্র দেখলে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ঠিক ছিল ইউনিয়ন রুমে রাত নয়টার সময় তথ্যচিত্র দেখানো হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সেখানে বিদ্যুৎ ও নেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়।

এরপর ছাত্রছাত্রীরা ক্যান্টিনে গিয়ে সেলফোনে তথ্যচিত্র দেখেন। তখন সেখানে ঢিল মারা হয় বলে অভিযোগ। এসএফআইয়ের অভিযোগ, বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা ঢিল মেরেছে। তারপর তারা প্রতিবাদ মিছিল বের করে।

শুধু জেএনইউ নয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রছাত্রীরা এই তথ্যচিত্র দেখেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তাদের এনিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে।

বিবিসি-র এই তথ্যচিত্র নিয়ে ভারত জানিয়েছে, এটা সাম্রাজ্যবাদী মানসিকতার পরিচায়ক। সুপ্রিম কোর্ট যেখানে এই বিষয়ে স্পষ্ট রায় দিয়েছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এই ধরনের তথ্যচিত্র একটি বিশেষ ন্যারেটিভের প্রচার করছে।

সরকারের তরফ থেকে টুইটার ও ইউটিউবকে এই বিষয়ে যাবতীয় পোস্ট সরিয়ে দিতে বলেছে বলে সূত্র জানাচ্ছে। এর মধ্যেই জেএনইউতে এই তথ্যচিত্র দেখলো ছাত্রছাত্রীরা। জেএনইউ কর্তৃপক্ষ এখন কী সিদ্ধন্ত নেন, সেটাই দেখার।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)