1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপজ্জনক ভাইরাস বহন করতে পারে মগডালের মশা

১২ জুন ২০২৩

মশার কারণে মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ার উদাহরণ কম নয়৷ করোনা বহন না করলেও আগামী মহামারির ভাইরাস মশা যে বহন করবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ বিজ্ঞানীরা এমন বিপজ্জনক মশা সম্পর্কে আরো জানার চেষ্টা করছেন৷

https://p.dw.com/p/4SSED
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি: Lincon Zarbietti/dpa/picture alliance

অ্যাডাম হেন্ডি ও তাঁর টিম অ্যামাজন রেন ফরেস্টে ফাঁদ পাতেন৷ তাঁরা আসলে মশার পেছনে ধাওয়া করছেন৷ কারণ সেই মশা সম্ভবত এমন এক ভাইরাস বহন করতে পারে, যা আগামী মহামারির কারণ হবে৷ সে ক্ষেত্রে ভাইরাস শিকারিরা সময় থাকতে সেই মশা শনাক্ত করতে চান৷ প্রথম দল হিসেবে তাঁরাই প্রাণীর দেখা পেতে পারেন৷ তবে তার জন্য চাই অনেক ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায়৷

গাছের মাথার উপর বিশেষ বিপজ্জনক মশা বাস করে বলে জানা গেছে৷ অ্যাডাম ও তার টিম সেই মশাই ধরতে চান৷ অ্যাডাম ও তাঁর টিম এমন মশার সন্ধান করছেন, যেগুলি ওয়েস্ট নাইল বা ডেঙ্গুর মতো  তথাকথিত আরবোভাইরাস বহন করে৷ সেই ভাইরাস মেরুদণ্ডী প্রাণীর শরীরে বংশবৃদ্ধি করে এবং মশার কামড়ের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে৷ কিন্তু সেই মশার উপর নজরদারি চালানো অত্যন্ত কঠিন৷

প্রায় ১০,০০০ হেক্টর এলাকা জুড়ে অপেক্ষাকৃত অক্ষত রিজার্ভ ফরেস্টে আরো একটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে৷ প্রশ্ন হলো, জঙ্গলের গভীরের মশা কি বাইরের অংশের মশার তুলনায় ভিন্ন ভাইরাস বহন করে? সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া অত্যন্ত কঠিন৷ অ্যাডাম হেন্ডি বলেন, ‘‘প্রথমে মশা ধরতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে, কারণ আগে এই প্রাণী সম্পর্কে বেশি গবেষণা হয়নি৷ সেই মশা ধরার বিষয়ে আমরা অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়েছি৷ সেই প্রক্রিয়ায় আমাদের অনেক কষ্ট হয়েছে৷''

গাছের মগডালে বিপজ্জনক মশা

সত্যি বিপজ্জনক মশা ঠিক কোথায় বাস করে? অ্যাডামের অনুমান, গাছের একেবারে উপরের অংশের মশা মানুষের জন্য হুমকি বয়ে আনে৷ সেই ধারণা প্রমাণ করতে তিনি জঙ্গলের মাঝে দশ মিটার উঁচু রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছেন৷ অ্যাডাম বলেন, ‘‘গাছের মাথার মশা মানুষের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক, কারণ সেই প্রাণী এমন প্যাথোজেন বহন করে, সাধারণত আমরা যেগুলির সংস্পর্শে আসি না৷ আমাদের ইমিউন সিস্টেম সেই বিপদ  চেনে না৷''

গাছের মাথায় যে প্রজাতির মশা বাস করে, সেই প্রাণী উষ্ণ ও শুকনো পরিবেশ পছন্দ করে৷ নীচে জঙ্গলের মাটির উপর অন্য প্রজাতির মশা দেখা যায়, যারা ছায়া ও শীতল পরিবেশে থাকতে চায়৷ কিন্তু বিপজ্জনক মশা কখন গাছের মগডাল থেকে নীচে নামে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে অ্যাডাম ও তাঁর টিম বিভিন্ন স্তরে, বিভিন্ন জায়গায় মশা ধরছেন৷ তিনি মনে করেন, ‘‘আমরা যখন জঙ্গলের ধারে গাছ কেটে ভবন অথবা সড়ক তৈরি করি, আমরা সেখানকার ‘মাইক্রোক্লাইমেট' বদলে দেই৷ গাছের মগডালের নীচের পরিবেশ তখন গরম ও শুকনো হয়ে পড়ে৷ ছাউনির নীচে যে প্রজাতির মশা থাকে, তাদের সেটা পছন্দ৷ সে ক্ষেত্রে সেই প্রজাতি জমির আরও কাছাকাছি চলে আসে৷ তখন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়৷

ঘন জঙ্গলে মশার উপর নজরদারি হয়তো সম্ভব৷ কিন্তু রেইন ফরেস্টে গাছ কাটা কমানো আরও সহজ উপায়৷ কারণ প্রতিটি নতুন সড়ক হয়তো বিপজ্জনক মশা ডেকে আনছে৷

নিকোলেটা রেনৎস/এসবি