বিধ্বস্ত ইজমিরে হতাশা
২ নভেম্বর ২০২০শুক্রবার বিকেলে গ্রিস ও আনাতোলিয়া উপদ্বীপ সংলগ্ন এজিয়ান সাগরে সৃষ্ট ভূমিকম্পতুরস্কের ইজমির শহর ও গ্রিসের সামোস দ্বীপে আঘাত হানে৷ ছয় দশমিক নয় মাত্রার এ ভূমিকম্পে ইজমির শহরের বহু স্থাপত্য ভেঙে পড়েছে৷
শুক্রবারের পর থেকে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া মানুষদের বের করতে উদ্যোগী হয় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বাসিন্দারা৷ তুরস্কের বিপর্যয় বিষয়ক দপ্তর এএফএডি জানায়, এখন পর্যন্ত তুরস্কে ভূমিকম্পের কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৯ জন, আহত ৮০৪জন৷ হাসপাতালে ২০০জনের চিকিৎসা চলছে বলেও জানিয়েছে তারা৷
৩৪ ঘন্টা পরে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তি
এই ভূমিকম্পের কারণে তুরস্কের হাজারো মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন৷ দেশের জরুরি পরিষেবার পক্ষে ইতিমধ্যে দেড় হাজার তাঁবু পাঠানো হয়েছে৷ জানা গেছে, আরো দুই হাজার তাঁবুও শীঘ্রই এসে পৌঁছাবে৷ ইজমিরে কমতে থাকা তাপমাত্রার পারদের কথা মাথায় রেখেই তাঁবু ও লেপ-কম্বল দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জানালেন মেয়র টুনক সোয়ের৷
প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকর্মীরা মোট আটটি ভেঙে পড়া বহুতলের মধ্যে জীবিতদের খোঁজ চালানো শুরু করেন৷ আটকে পড়া মানুষের আওয়াজ শুনতে আশেপাশে জমা জনতার ভিড়কে চুপ থাকতে বলা হয়৷ কিন্তু রোববারে সেই ধ্বংসস্তূপে জীবিতের তুলনায় মৃতদেহই বেশি পাওয়া গেছে৷
তবে, উদ্ধারকর্মীদের অবাক করে দিয়ে শনিবার ৭০ বছর বয়েসি এক ব্যক্তিকে ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে আনা হয়৷ ‘‘আমি কখনোই হাল ছাড়িনি'', জানান বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই ব্যক্তি৷
তুরস্কে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়া মোট ২৬টি বহুতলের অবশেষ গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে৷ এবিষয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেন, ‘‘আসলে ভূমিকম্প মানুষ মারছে না, এই বহুতলগুলি মারছে৷''
বর্তমান তুরস্কে পুরোনো, সংস্কারহীন বহুতলের পাশাপাশি রয়েছে সস্তা, বেআইনীভাবে তৈরি বহুতলও, যা ভূমিকম্পের মতো দুর্যোগের সময়ে বিপদ বাড়াতে পারে৷ গত কয়েক বছরে তুরস্ক কর্তৃপক্ষ এই ধরনের বহুতলের ওপর কড়াকড়ি বাড়িয়েছে৷
এসএস/কেএম (এপি, ডিপিএ)