1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিদ্বেষ দূর করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আন্তরিক নন'

৬ আগস্ট ২০১৯

গত সপ্তাহান্তে দেশে দু-দুটি মারাত্মক হিংসার ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর চাপ বাড়ছে৷ এমনকি অনেকে এই বিষাক্ত পরিবেশের জন্য প্রেসিডেন্টকেই পরোক্ষভাবে দায়ী করছেন৷

https://p.dw.com/p/3NOca
চাপের মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/Newscom/C. Kleponis

টেক্সাস ও ওহায়ো রাজ্যে দুটি হামলার পর সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্যে বক্তব্য রাখেন৷ টেলিপ্রম্পটার দেখে পড়া সেই বিবৃতিতে বর্ণবাদ ও শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যের সমর্থকদের সমালোচনা করেন ট্রাম্প৷ সেইসঙ্গে এমন হামলা প্রতিরোধ করতে কিছু পদক্ষেপেরও প্রস্তাব দেন তিনি৷ ইন্টারনেটে আরো কড়া নজরদারি, মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অবকাঠামোর সংস্কার, আরো ব্যাপকভাবে মৃত্যুদণ্ডের প্রয়োগের মতো একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখেন তিনি৷ ট্রাম্প বলেন, ‘‘অ্যামেরিকায় ঘৃণার কোনো জায়গা নেই৷''

উল্লেখ্য, মেক্সিকো সীমান্তে টেক্সাস রাজ্যের এল পাসো শহরে শনিবার সন্ত্রাসী হামলায় ২২ জন নিহত হবার পর ২১ বছর বয়সি আততায়ীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, হামলার কিছু সময় আগে ইন্টারনেটে বর্ণবাদী ও অভিবাসী-বিরোধী ঘৃণায় ভরা এক বিবৃতি প্রকাশ করেছিল সেই ব্যক্তি৷

বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা এমন হামলার জন্য পরোক্ষভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই দায়ী করছে৷ তিনি যেভাবে তাঁর বক্তব্য ও টুইট বার্তার মাধ্যমে বারবার বর্ণবাদ ও শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্যবাদীদের ইন্ধন জুগিয়ে চলেছেন, তার ফলে তারা উৎসাহিত হচ্ছে৷ তাছাড়া অভিবাসীদের বিরুদ্ধেও ট্রাম্প বার বার কড়া কথা শোনাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠছে৷ তাই এমন অবস্থায় লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে কিছু ‘মন ভোলানো' কথা বলে ট্রাম্প সমালোচকদের খুশি করতে পারেননি৷ এ বিষয়ে তাঁর আন্তরিকতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ সংযম ভেঙে সপ্তাহান্তের সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে মুখ খুলেছেন৷ এক বিবৃতির মাধ্যমে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে ভয়ভীতি ও ঘৃণা ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেন৷ তাঁর মতে, এভাবে বর্ণবাদী ভাবাবেগকে স্বাভাবিক করে তোলাও বরদাস্ত করা উচিত নয়৷

এমন প্রেক্ষাপটে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের পক্ষে নিষ্ক্রিয় থাকা সম্ভব হচ্ছে না৷ দলের প্রভাবশালী সংসদ সদস্য ও প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত লিন্ডসে গ্র্যাহাম আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন অনুমোদনের প্রক্রিয়া শুরু করতে চান৷ এমন আইনের ভিত্তিতে পুলিশ হিংসাত্মক আচরণের লক্ষণ দেখলে কোনো ব্যক্তির আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করতে পারবে৷ উল্লেখ্য, রিপাবলিকান দল এতকাল আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করতে একেবারেই প্রস্তুত ছিল না৷ ট্রাম্প নিজে দুই দলের উদ্দেশ্যে এমন আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন৷ গ্রীষ্মকালীন বিরতির পর সেপ্টেম্বর মাসে সংসদের অধিবেশন শুরু হলে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এপি)