বিটলসের জন্মস্থানে করোনা তুচ্ছ করা উৎসব
করোনা মহামারির সময়েও লিভারপুলে হয়ে গেল ছয় ঘণ্টার এক মিউজিক ফেস্টিভ্যাল৷ পরীক্ষামূলক এ উৎসবে সুরে বুঁদ থেকে করোনার ভয় ভুলে ছিলেন সংগীতপ্রেমীরা৷ ছবিঘরে বিস্তারিত...
পাঁচ হাজার মানুষের সমাবেশ
সপ্তাহান্তে আয়োজিত এ উৎসবে সংগীতের সুরে, তালে মেতে ছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ৷ মহামারি শুরুর পর খোলা আকাশের নীচে এই প্রথম এমন আয়োজন দেখলো লিভারপুলের মানুষ৷ ছবিতে উৎসবে আসা দর্শকদের উদ্দাম নাচ৷
আনন্দ আর ভালোবাসার উৎসব
ইংল্যান্ডের বিখ্যাত রক সংগীত দল বিটলস-এর জন্মভূমি লিভারপুলের সেফটন পার্কে আয়োজন করা হয় এই উৎসব৷ করোনার কারণে দীর্ঘদিন প্রায় গৃহবন্দি থাকা পাঁচ হাজার শ্রোতার মনের আনন্দ প্রকাশ পেয়েছে মেগান বাটলারের কথায়, ‘‘খুব ভালো লাগছে... চমৎকার লাগছে৷ কতদিন পর...!’’ ছবিতে ভালোবাসার চিহ্ন দেখাচ্ছেন ১৯ বছর বয়সি মেগান৷
পথ দেখানো উৎসব
আয়োজক সংগঠন ফেস্টিভ্যাল রিপাবলিক-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেলভিন বেন মনে করেন, এ উৎসবের সাফল্য দেখে অনেকেই হয়ত ভবিষ্যতে এমন আয়োজনে উৎসাহিত হবেন৷ তার মতে, ‘‘এভাবে আয়োজন করলে সবাই ২০১৯ সালের মতো পার্টির মেজাজে ফিরে যেতে পারবে৷’’ ছবিতে চার সংগীতপ্রেমী তরুণীর আনন্দ৷
৪১৩ দিন পর
ব্রিটিশ ব্যান্ড ব্লসমস-এর মূল গায়ক টম অগডেন তো এত দর্শকের উপস্থিতিতে আবার গাইতে পেরে মহাখুশি, ‘‘৪১৩ দিন পর আবার স্টেজে উঠলাম আমরা৷ সত্যিই অনেক দিন পর... এখানে আসতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত৷’’
ছয় ঘণ্টায় জীবন উপভোগ
রাত দশটা থেকে শুরু হয়ে যায় কারফিউ৷ তার আগেই শেষ হওয়া গানের এ আয়োজনে আবার একটু জীবন উপভোগের সুযোগ পেয়েছেন ২৫ বছর বয়সি শ্রমিক হ্যারি স্মিথ৷ তাই বললেন, ‘‘চলুন আবার জীবন উপভোগ করি, চলুন সবাই আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাই৷’’
সব জায়গায় স্যানিটাইজার
তবে উৎসবে করোনাকে দূরে রাখার সব ব্যবস্থাই ছিল৷ এমনকি স্থানান্তরযোগ্য টয়লেটেও ছিল স্যানিটাইজারের ডিসপেন্সিং স্টেশন৷
সর্বোচ্চ সতর্কতা
এমনকি প্রবেশপথের রেলিংকেও স্যানিটাইজ করে বারবার জীবাণুমুক্ত রাখতে ভোলেননি আয়োজকরা৷