বিচ্ছিন্ন-অবিচ্ছিন্নের চীন
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর অনেক দেশ এবং এয়ারলাইন চীনের সঙ্গে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে৷ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাতিল হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফ্লাইট৷
চীন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন
ফ্রান্স, জার্মানি, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশ ফেব্রুয়ারিতে চীনে সব ধরনের বিমান চলাচল স্থগিত করেছে৷
অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা
মিশর, কেনিয়া ও কাতারসহ কয়েকটি দেশ বাড়তি ব্যবস্থা হিসেবে চীনের সঙ্গে বিমান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷ ইতালি ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে৷
বিদেশিদেরও ঢুকতে দেওয়া দেওয়া হচ্ছে না
অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল শুধু চীনা নাগরিকদের নয় বরং চীন ভ্রমণ করা বিদেশিদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না৷
ফ্রি ভিসা ও অন এরাইভাল ভিসা প্রদাণ স্থগিত
চীনা বা চীনে বসবাস করা ব্যক্তিদের জন্য ফ্রি ভিসা বা অন এরাইভাল ভিসা দেওয়া কয়েকটি দেশ সাময়িকভাবে এই ব্যবস্থা বন্ধ রাখছে৷ এরমধ্যে অন্যতম মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া ও রাশিয়া৷
চীনা নাগরিকদের ভিসা বাতিল
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর ভারত ও সিঙ্গাপুরসহ কয়েকটি দেশ চীনা নাগরিকদের বা চীনে বসবাস করেন এমন ব্যক্তিদের বর্তমান ভিসাও বাতিল করেছে৷
হংকং ও তাইওয়ান
চীনের মূলখণ্ড হুবেই প্রদেশ থেকে লোকজনকে হংকংয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না৷ স্থানীয় প্রশাসন মূলভূখণ্ড থেকে প্রবেশে আরো কড়াকড়ি আরোপের ব্যবস্থার অনুমতিও চেয়েছে৷ তাইওয়ানও একই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷
সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়নি চীন
এখনো কয়েকটি দেশ চীনের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করেনি৷ যদিও আগের তুলনায় তাদের ফ্লাইট সংখ্যা কমে গেছে৷ নিউ জিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান এ দলে রয়েছে৷
ব্যতিক্রমী পাকিস্তান
অন্যান্য দেশের মত পাকিস্তানও চীনের উহান (এই নগরীতেই করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হয়) এবং হুবেই প্রদেশে বিমান চলাচল বন্ধ করেছে৷ কিন্তু দেশটি তাদের অন্যতম মিত্র দেশ চীনের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ যদিও উহানে অবস্থান করা নাগরিকদের দেশে ফেরাতে রাজি না৷
চীনারা প্রবাসে কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারছেন না
বিদেশে থাকা অনেক চীনা নাগরিক পরিবারের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন করতে দেশে ফিরেছিলেন৷ নববর্ষ উৎসবের মধ্যই করোনা ভাইরাস মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ায় রাশিয়া, ভিয়েতনামসহ আরো কয়েকটি দেশ এখন তাদের ফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে৷
চীন ভ্রমণে সর্বোচ্চ জরুরি সতর্কতা
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ নাগরিকদের আপাতত চীন ভ্রমণে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে৷
এখনই এত কড়াকড়ির প্রয়োজন নেই
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশের কড়াকড়িতে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ার পাশাপাশি চীনের অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেছে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এখনই এত কড়াকড়ি আরোপের কোনো কারণ নেই৷