বিক্ষোভ সহিংসতায় ইরাকে প্রাণহানী
বেকারত্ব কমানো, পরিষেবা উন্নত করা ও দুর্নীতি রোধের দাবিতে ইরাকের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ সহিংস বিক্ষোভ দমনে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী পদক্ষেপ নিলে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকশ মানুষ আহত হয়৷
বাগদাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ
গত ১ অক্টোবর হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ইরাকের রাজধানী বাগদাদের রাস্তায় নামেন৷ তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল বেকারত্ব হ্রাস, উন্নত পরিষেবা দেয়া এবং দুর্নীতির অবসান করা৷ কেন্দ্রীয়ভাবে তাহরির স্কয়ারে এই বিক্ষোভ হয়৷ বিক্ষোভকারীরা সুরক্ষিত গ্রিন জোনের দূতাবাস এবং সরকারি ভবনগুলোতে প্রবেশের চেষ্টা চালায়৷
সহিংসতা দমনে পুলিশ
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষারকারী বাহিনী টিয়ার শেল এবং জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের গ্রিন জোনে প্রবেশ ঠেকিয়ে দেয়৷ তারপরও বিক্ষোভকারীরা সরতে না চাইলে পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে৷
সংযত থাকার আহ্বান
ইরাকের বর্তমান সরকার ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ক্ষমতায় রয়েছে৷ এই বিক্ষোভ শুরুর পর বাগদাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে৷ দেশটির রাষ্ট্রপতি বারহাম সালেহ বিক্ষোভাকারীদের সংযত হয়ে আইনের প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন৷ এ ঘটনায় ইরাকে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷
আরো প্রতিবাদ, আরো মৃত্যু
বিক্ষোভ দমনে পুলিশি পদক্ষেপের পরও সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে৷ ২ অক্টোবর বাগদাদের শহরতলিতে নতুন করে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ তার আগেই পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে প্রস্তুত ছিল৷ এদিন সহিংস বিক্ষোভের ঘটনায় সাতজন মারা যান৷ এর আগের দিন মারা যায় আরো দুইজন৷
জমে উঠছে প্রতিবাদ
ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে৷ কিছু জায়গায় বিক্ষোভকারীরা আগুন ধরিয়ে দেন৷ প্রধানমন্ত্রী আদেল আব্দুল-মাহদি জরুরি জাতীয় সুরক্ষা বৈঠক করেন, সেখানে কিছু রাজনীতিবিদ বিক্ষোভকারীদের সমালোচনা করলেও অন্যরা সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন৷
আরো অস্থিরতা
দেশব্যাপী এই বিক্ষোভের কারণে রাজধানীর বাইরের বিমানবন্দরসহ বাগদাদ এবং দক্ষিণের তিনটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়৷ এই বিক্ষোভ ও সহিংসতায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছে৷ কারবালায় ধর্মীয় তীর্থযাত্রার আগে ইরাক ও ইরানের সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ ইরান তার নাগরিকদের ইরাকে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানিয়েছে; বাহরাইনও একই রকম সতর্কতা জারি করেছে৷