1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপি ও সমমনাদের নয়া পল্টনে ‘গণঅবস্থান'

১১ জানুয়ারি ২০২৩

বিএনপির নেতা-কর্মীরা নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘সরকার হটানোর আন্দোলনের অংশ হিসেবে ' ‘গণঅবস্থানে' বসেন৷ দলের সদ্য কারামুক্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুলও রাজধানীর কর্মসূচিতে যোগ দেন৷

https://p.dw.com/p/4M0GL
ছবি: Mortuza Rashed/DW

দেশের নয় বিভাগীয় শহরেও এ কর্মসূচি পালন করা হয়৷ বুধবার সকাল সাড়ে  ১০টায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচি বেলা ২টা পর্যন্ত চলে৷

বুধবার ‘যুগপৎ আন্দোলনের' অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্বপ্রান্তে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে ইডেন কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণফোরামের ‘গণঅবস্থান' কর্মসূচি পালিত হয়৷

বিলুপ্ত ২০ দলীয় জোটের শরিকদের নিয়ে গঠিত ১২ দলীয় জোট বিজয় নগরে পানির ট্যাংকের কাছে, সমমনা জাতীয়তাবাদী জোট পুরানা পল্টনে এবং এলডিপি কাওরান বাজারে এফডিসির কা্ছে নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে৷

সরকারের পদত্যাগ, একাদশ সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ১০ দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে যে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করেছে, এটি তার দ্বিতীয় কর্মসূচি৷

গত ২৪ ডিসেম্বর ৯ বিভাগীয় শহরে এবং ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রথম কর্মসূচিতে গণমিছিল করেছিল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো৷

‘গণঅবস্থান কর্মসূচিতে' অংশ নিতে নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন৷ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে একপাশে পলিথিন ও মাদুর বিছিয়ে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা৷

ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আব্দুল কুদ্দুস, আফরোজা খানম রীতা, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদারসহ নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অবস্থান কর্মসূচির কার্য্ক্রম শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে৷ এরপর দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন জাসাস শিল্পীরা৷

কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন৷ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু৷

ফকিরাপুর থেকে কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত সড়কের একপাশে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে অবস্থান কর্মসূচি সমাবেশের রূপ নেয়৷ ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো', ‘এই মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার'– ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা সরব করে রাখেন তারা৷

বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন৷

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রাজশাহীতে আবদুল মঈন খান, সিলেটে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরিশালে সেলিমা রহমান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, রংপুরে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে কুমিল্লায় বরকত উল্লাহ বুলু ও খুলনায় শামসুজ্জামান দুদু এবং ফরিদপুরে আহমেদ আজম খান অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বলে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স৷

নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের একপাশের সড়কে এই কর্মসূচি হচ্ছে৷ সড়কের এক পাশ বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷

ঢাকায় এই গণ-অবস্থান কর্মসূচির জন্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের অনুমতি পায় বিএনপি৷ জনদুর্ভোগ যাতে না হয়, সেজন্য সড়ক অবরোধ না করে ফুটপাতে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে বলা হয় সেখানে৷

গণ-অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে নয়া পল্টনের পুরো এলাকায় সতর্ক ব্যবস্থা নিয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ৷  কাকরাইল ও ফকিরাপুল মোড়ে জলকামানের গাড়ি দেখা গেছে৷ বিভিন্ন সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে৷ 

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য