1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বায়ু দূষণে জেরবার দিল্লির আবহাওয়া

২৫ অক্টোবর ২০২৩

শীত পড়তে না পড়তেই বায়ু দূষণের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে দিল্লিতে। পাঞ্জাবে রেকর্ড মাত্রায় খড় পোড়ানো হয়েছে মঙ্গলবার।

https://p.dw.com/p/4Y0FL
দিল্লি দূষণ
দিল্লি বায়ু দূষণছবি: DW

তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে দিল্লিতে। মঙ্গলবার সকালে তাপমাত্রা ১৫ দশমিক আট ডিগ্রিতে নেমেছিল। একইসঙ্গে বাতাসের গতিও কমে গেছে। ফলে বাড়ছে দূষণ। বুধবার দিল্লির বায়ু দূষণের মাত্রা ২০০ একিউআই-য়ের উপরে। পার্শ্ববর্তী নয়ডায় একিউআই আড়াইশোর উপরে চলে গেছে। হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবে জায়গায় জায়গায় তা ৩০০-র আশপাশে পৌঁছে গেছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নেবে। দীপাবলির সময়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই বায়ু দূষণ নিয়ে দুইটি বৈঠক করেছে। শেষ বৈঠকটি হয়েছে গত ২৩ তারিখ। ওই দিন একটি অ্যাকশন প্ল্যানও তৈরি করা হয়েছে। দিল্লির মোট ১৩টি এলাকাকে হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি দিল্লির মেট্রো এবং ইলেকট্রিক বাসের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে তাদের সার্ভিস আরো বাড়ানোর জন্য। মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার না করে বাস এবং মেট্রো বেশি করে ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

খড় পোড়ানো

গত এক সপ্তাহে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ক্ষেতে আগুন দেওয়া শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র মঙ্গলবার পাঞ্জাবে ৩৫০টি ক্ষেতে খড় পোড়ানো হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বেশ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও খড় পোড়ানো বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে প্রশাসন জানাচ্ছে।

বস্তুত, এ বছর বন্যা হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়েছে অনেক। ফলে খড় পোড়ানো এখনো অনেক বাকি আছে বলে কৃষকদের একটি অংশ জানিয়েছে। আগামী কয়েকদিন আরো খড় পোড়ানো হবে বলেই জানিয়েছে তারা।

দিল্লিরপরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই জানিয়েছেন, ''আবহাওয়া আমাদের হাতে নেই। দীপাবলির সময় পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে এটা ধরে নিয়েই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করছি।''

পশ্চিমবঙ্গ পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''প্রতি বছরই উত্তর ভারতে শীতের সময় এই ঘটনা ঘটে। আগে থেকে সতর্কতা নিলে পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে তা হয় না।'' কল্যাণ জানিয়েছেন, মৌসুমি বায়ু এই সময় উল্টো দিকে যায়। অর্থাৎ, উত্তর থেকে সমুদ্রের দিকে যায়। ফলে উত্তর ভারতের সমস্ত দূষণ নিয়ে তা পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের দিকে যাত্রা করে। উত্তর ভারতের দূষণের জের পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতের উপরেও পড়ে। এবারের পরিস্থিতি নিয়ে তা-ই এখন থেকেই তারা উদ্বিগ্ন।