বাল্টিক মানববন্ধনের ৩০ বছর
১৯৮৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন পতনের দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখন ইতিহাস রচনা করেছিল বাল্টিক দেশগুলো৷ স্বাধীনতার দাবিতে মানববন্ধন করেছিলেন এস্তোনিয়ান, লিথুয়ানিয়ান এবং লাটভিয়ানরা৷
ব্যর্থ জার্মান-সোভিয়েত চুক্তি
জার্মানি ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে মলোটভ-রিবেন্ট্রপ চুক্তির ৫০তম বার্ষিকীতে ১৯৮৯ সালের ২৩ আগস্ট এস্তোনিয়ার রাজধানী তালিনে প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ স্বাধীনতার দাবিতে মানববন্ধন করে; যা সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল৷
এক হওয়ার শক্তি
লিথুয়ানিয়ান রাজধানী ভিলনিয়াসের ৬০০ কিলোমিটারজুড়ে মানববন্ধন হয়৷ এই কর্মসূচির ফলে সোভিয়েত নেতারা কী প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা কেউই জানতেন না৷ তবে এই মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে বাল্টিক দেশগুলো একত্রিত হওয়ার শক্তি সঞ্চয় করে৷
জনগণের শক্তি
নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমেছিল৷ স্থানীয় কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদরাও অংশ নিয়েছিলেন সেই মানববন্ধনে৷ ঠিক সন্ধ্যা ৭টায় প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ ১৫ মিনিটের জন্য হাত ধরে দাঁড়িয়ে ইতিহাসের দীর্ঘতম মানববন্ধন করে৷
ইতিহাসের ফ্ল্যাশপয়েন্ট
স্বাধীনতার দাবিতে ১৫ মিনিটের সেই মানববন্ধন ‘বাল্টিক ওয়ে‘ হিসাবে ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে৷ ওই মানববন্ধনে সোভিয়েতদের দ্বারা নিষিদ্ধ পতাকাগুলো ক্ষোভের সঙ্গে প্রদর্শন করা হয়৷ তিনটি সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রের জন্য স্বাধীনতার আশা বাস্তবে রূপ নেয়৷
প্রতিরক্ষামূলক মস্কো
১৯৮৯ সালে বাল্টিক রাজ্যগুলোর জনসংখ্যা ছিল আট মিলিয়ন, এরমধ্যে দুই মিলিয়ন মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। ওই কর্মসূচিতে মস্কো বল প্রয়োগ করেনি৷ তবে বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোর স্বাধীনতাও আটকে রাখতে পারেনি সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ ১৯৯১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে লাটভিয়া, এস্তোনিয়া এবং লিথুয়ানিয়া৷
প্রতিরোধমঞ্চ
‘বাল্টিক ওয়ে’ এর আগে ১৯৮৩ সালে জার্মানিতে চার লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিল৷ দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনের বিরোধিতা করতে রাস্তায় নামেন তারা৷ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জার্মানির লোকেরা ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মানববন্ধন করেন৷