1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বালুর বেনামি সংস্থার ডিরেক্টর বাড়ির পরিচারক?

৩০ অক্টোবর ২০২৩

আদালতে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নামে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। তাতে উঠে এসেছে চমকপ্রদ কিছু তথ্য।

https://p.dw.com/p/4YBVq
ইডির হাতে গ্রেপ্তার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
রেশন দু্র্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকছবি: Satyajit Shaw/DW

পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। গত সপ্তাহে তাকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) অফিসারেরা দীর্ঘ জেরার পর গ্রেপ্তার করেছে। এরপর আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হল।

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রাজনৈতিক মহলে বালু নামে পরিচিত। সেটাই তার ডাকনাম। ইডির দাবি, খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রেশনের টাকা নয়-ছয় করে বিপুল কালো টাকা করেছিলেন বালু। প্রাথমিক তদন্তে যা প্রায় ৩০ কোটি বলে মনে করছে ইডি। যদিও টাকার অঙ্ক এখনো প্রকাশ্যে আনেনি ইডি। ইডি-র সূত্র নাম প্রকাশ করা যাবে না এই শর্তে ডয়চে ভেলেকে একথা জানিয়েছেন।

তবে আদালতে ইডি জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার জন্য জ্যোতিপ্রিয় মোট তিনটি সংস্থা তৈরি করেছিলেন। আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র নামে কেনা ফ্ল্যাটের ঠিকানায় ওই কোম্পানিগুলি রেজিস্টার করানো হয়েছিল। ওই সংস্থাগুলির ডিরেক্টর করা হয়েছিল মন্ত্রীর মেয়ে এবং স্ত্রীকে। শুধু তা-ই নয়, একটি সংস্থার ডিরেক্টর পদ দেওয়া হয়েছিল বাড়ির পরিচারককেও। দীর্ঘ ১৭ বছর ওই ব্যক্তি বালুর বাড়িতে কাজ করেন বলে ইডির অভিযোগ।

বাকিবুরকে গ্রেপ্তারের পর এই সমস্ত তথ্য ইডির হাতে এসেছে বলে জানা গেছে। বস্তুত, সোমবার দুপুরেও ইডি দপ্তরে অমিত দে-কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি চিঠি ইডি দপ্তরে দিয়ে গেছেন মন্ত্রীর দাদা। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, চিঠিতে কী আছে, তা তিনি জানেন না।

মন্ত্রী কন্যা সুকন্যাও রোববার ইডি দপ্তরে গেছিলেন। ডয়চে ভেলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তিনি কথা বলতে চাননি। কেবল জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় আগের মতোই আছেন। হাসপাতালে তার হল্টার মনিটারিং চলছে। যদিও রোববার রাতে হাসপাতাল জানিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়কে কেবিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হল্টার মনিটারিং আর প্রয়োজন নেই।

এদিকে সোমবার ডয়চে ভেলের কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ''দীঘায় বেনামে তিনটি হোটেল আছে জ্যোতিপ্রিয়ের। ৫০টাকার স্ট্যাম্প পেপারে ওই হোটলগুলির লিজ নেওয়া হয়েছিল।'' শুভেন্দুর দাবি, কালো টাকা সাদা করতে ওই হোটেলগুলি বেনামে নেওয়া হয়েছিল। যদিও ডয়চে ভেলে শুভেন্দুর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখেনি। শুভেন্দু জানিয়েছেন, প্রয়োজনে তিনি ইডিকে তার এই অভিযোগ জানাবেন।

বাম এবং কংগ্রেস সোমবার কলকাতায় খাদ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''জ্যোতিপ্রিয়ের গ্রেপ্তারে এতটুকু অবাক নেই। রাজ্যের সর্বত্র দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়েছে।''