1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিন প্রাচীর ভাঙার ১৫ বছর

আব্দুল্লাহ আল-ফারূক৯ নভেম্বর ২০০৪

মঙ্গলবার জার্মানিতে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্মরণ করা হল ১৯৮৯ সালের ৯ই নভেম্বর বার্লিনের প্রাচীর উঠে যাওয়ার ঐতিহাসিক ঘটনাকে৷

https://p.dw.com/p/DPzG
ছবি: AP

নেতৃস্থানীয় রাজনীতিকরা, বিশিষ্ট চার্চ-নেতারা সবাই এক বাক্যে প্রাচীর ভাঙাকে বিংশ শতকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক ঐতিহাসিক ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন৷ সংসদ বুন্দেস্তাগের স্পিকার ভলফগাং থিয়েরজে বলেছেন : ১৯৮৯ সালের ৯ই নভেম্বর বিশ্বের দুটি অংশে বিভক্তির ইতি ঘটেছিল৷ বার্লিনের দেয়াল- পতন তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক ঐতিহাসিক দিন৷

চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্রোয়েডার দেয়াল ভাঙার ১৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন : ৯ই নভেম্বর জার্মানির ইতিহাসের এক বিশেষ তারিখ৷ জার্মানির জন্য ঐতিহাসিক এক মুহূর্ত - আনন্দের দিন৷ তিনি বলেন : ৯ই নভেম্বর একই সঙ্গে মুক্তি আর গণতন্ত্রের বিজয়ের এক দিন৷ পনেরো বছর আগে পূর্ব জার্মানির মানুষ প্রাচীর ভেঙে ফেলেছিল - কাটিয়ে উঠেছিল মানববৈরী এক স্বৈরশাহী৷

বার্লিনের ভেডিং এলাকায় বেয়ারনাওয়ার স্ট্রাসের স্মৃতিস্তম্ভে শীর্ষ রাজনীতিকরা এবং বার্লিনের বাসিন্দারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাঁদের স্মৃতিতে, যাঁরা প্রাচীরের বেষ্টনী পেরিয়ে পশ্চিমে পালিয়ে আসতে গিয়ে রক্ষীদের গুলিতে নিহত হন৷ সাবেক পূর্ব জার্মানির অন্তত ১৯০ জন মানুষ এভাবে প্রাণ হারিয়েছিলেন৷ এই স্মরণ সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বার্লিনের শাসক মেয়র ক্লাউস ভোভেরাইট, জার্মান সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্রিস্টিনা ভাইস, সামাজিক গণতন্ত্রী দল এস.পি.ডি ও খৃস্টীয় গণতন্ত্রী দল সি.ডি.ইউ-র দুই প্রধান ফ্রানস্ ম্যুন্টেফেরিং ও আঙ্গেলা মেয়ারকেল৷ বার্লিন যখন বিভক্ত ছিল বেয়ারনাওয়ার স্ট্রাসের ওপর দিয়ে যাওয়া প্রাচীরের অংশ দিয়েই পশ্চিমে পালানোর চেষ্টা করেন অধিকাংশ মানুষ৷ একটা টানেলও খোঁড়া হয়েছিল৷ বেশ কিছু মানুষ ঐ টানেল দিয়ে পালিয়ে আসেন৷ প্রাচীরের একটি খন্ডাংশ সেখানে এখনও দাঁড়িয়ে৷ সেখানেই গড়ে উঠেছে স্মৃতিস্তম্ভ এবং একটি প্রার্থনা-চ্যাপেল৷

সংসদের স্পিকার ভলফগাং থিয়েরজে, যিনি নিজে পূর্ব বার্লিনের মানুষ, বলেছেন, এই প্রাচীরের এক সময়কার অস্তিত্ব ভুলে গেলে চলবে না৷ তিনি উল্লেখ করেন :
আমার ধারণা, দেয়াল কোথায় ছিল তা অনেকেই আর জানে না৷ মানুষ ভুলেই গেছে৷ হয়ত আমার নাতিনাতনীরা বিশ্বাসই করবে না যে কখনও একটা প্রাচীর এখানে দাঁড়িয়ে ছিল৷ বিভক্ত করেছিল এই শহরকে৷ না দেখতে পেলে কেউ হয়ত আর বিশ্বাসই করবে না যে ইউরোপের কুশ্রীতম স্থাপনাটির সত্যিই অস্তিত্ব ছিল একদিন৷

১৯৮৯ সালের ৯ই নভেম্বর দেয়াল খুলে যাওয়ার পর বিশেষ করে বার্লিনের মানুষ প্রাচীর দ্রুত সরিয়ে দেয়ার দাবি জানেন৷ ১৯৬১ সালে প্রথম এই প্রাচীর দাঁড় করায় সাবেক পূর্ব জার্মানির কমিউনিস্ট সরকার৷ তার দৈর্ঘ ছিল ১৫০ কিলোমিটারের ওপরে৷ কংক্রিটের দেয়াল ঘিরে বসানো হয়েছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ দেয়ালের খুব অল্প কিছু অংশ এখন রয়ে গেছে৷