1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বার্লিন প্রাচীর এবার যুক্তরাষ্ট্রে

১ নভেম্বর ২০০৯

বার্লিন প্রাচীরের পতন হয়েছে দুই দশক হতে চললো৷ কিন্তু সেই প্রাচীরের স্মৃতি ধরে রাখতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র৷ তাই লস এঞ্জেলেসে স্থাপন করা হয়েছে ঐতিহাসিক বার্লিন প্রাচীরের কিছু অংশ৷

https://p.dw.com/p/KKN0
ছবি: AP

লস এঞ্জেলেস ভিত্তিক ওয়েনডে মিউজিয়াম একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, তারা এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছে৷ শীতল যুদ্ধ চলাকালে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে কমিউনিজমের প্রভাব কি ছিলো তার নানা নিদর্শন এই প্রতিষ্ঠানটি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করে থাকে৷ বার্লিন প্রাচীরের পতন ঐতিহাসিকভাবে শুধু ইউরোপ নয় গোটা বিশ্বের জন্যই একটি দিক নির্দেশক ঘটনা ছিল৷ সেই বিষয়টিকে সামনে রেখে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়ামের সামনে তারা বাসিয়েছে বার্লিন প্রাচীরের কিছু অংশ৷ ২.৬ টন ওজনের এই প্রাচীর ইতিমধ্যে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে৷ সাড়াও পড়েছে বেশ৷ প্রতিদিনই প্রচুর দর্শনার্থী যাচ্ছেন ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষ্য চিহ্নটিকে দেখার জন্য৷

BdT Deutschland Berlin 20 Jahre nach Mauerfall
বার্লিন প্রাচীর এখন একটি আন্তর্জাতিক প্রতীকছবি: AP

ওয়েনডে মিউজিয়ামের প্রেসিডেন্ট জাস্টিনিয়ান জাম্পল বললেন, ‘এই দেয়ালটি হচ্ছে যেন একটি সাদা ক্যানভাস৷ বার্লিন প্রাচীর শুধু একটি প্রাচীর নয় এটি একটি আন্তর্জাতিক প্রতীকে পরিণত হয়েছে৷ মানুষ এটিকে দেখছে এবং নিজের মত করে ভেবে নিচ্ছে৷ কখনো এটি যেন আমেরিকা এবং মেক্সিকোর মধ্যে একটি দেয়াল, কখনো বা এটি যেন ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যেকার দেয়াল৷' অর্থাৎ এই দেয়াল শুধু ইট পাথরের দেয়াল নয়, এটি আমাদের মধ্যে একটি মনস্তাত্ত্বিক দেয়াল, সেটি বোঝানোর চেষ্টা করছেন আয়োজকরা৷

এদিকে লস এঞ্জেলেসের এই বার্লিন প্রাচীর পরিদর্শন করার সম্ভাবনা রয়েছে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের৷ কারণ মঙ্গলবার তিনি যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র সফরে৷ সেদিন তিনি মার্কিন কংগ্রেসের সামনে বক্তব্য রাখবেন৷ কনরাড আডেনাউয়ারের এর পর তিনি হচ্ছেন দ্বিতীয় জার্মান চ্যান্সেলর যিনি মার্কিন কংগ্রেসের সামনে বক্তব্য রাখবেন৷ এছাড়া তিনি সাক্ষাত করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গেও৷ তাঁর এই সফরে সঙ্গী হচ্ছেন নতুন পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী