বার্লিনের ৯টি ‘বিশেষ’ স্থান
আধুনিক নাগরিকসেবা এবং আকাশচুম্বী অট্টালিকার জন্য বার্লিন বেশ পরিচিত৷ কিন্তু এই শহরে এমন স্থান ও স্থাপনা রয়েছে, যার সন্ধান খোদ বার্লিনের অধিবাসীরাও জানেন না৷ চলুন দেখে আসি ছবিঘরে৷
এ যেন সমুদ্র সৈকত!
বার্লিনে অনেক লেক রয়েছে৷ ভান জে লেকের লিডো সৈকত বেশ জনপ্রিয়৷ তিন হাজার ৯৩৭ ফুট দীর্ঘ সৈকতে কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ সমুদ্র সৈকতের অনুভূতি পেতে পারেন৷ আসলে বাল্টিক সমুদ্র থেকে বালু এনে এখানকার সৈকতকে সমুদ্র সৈকতের রূপ দেয়া হয়েছে৷
জাপানের মতো চেরিপুঞ্জ
বার্লিনের লিস্টারফেল্ডে স্যুড এলাকায় এবং টেলটোভে বসন্তে দুই হাজার চেরি গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে৷ যে কেউ তখন এলাকাটিকে জাপান বলে ভুল করতে পারে৷ ১৯৮৯ সালে বার্লিন দেয়াল পতনের পর জাপানের একটি টেলিভিশন তহবিল গঠনের প্রচারণার জন্য বার্লিনে চেরি গাছগুলো লাগিয়েছিল৷
অভয়ারণ্যের মতো মুক্ত ময়ূর
বার্লিনের হাফেল এলাকায় ফাওয়েনইনজেল বা পিকক আইল্যান্ডে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের চাদর বিছিয়ে রেখেছে৷ লেক ভানজে’র লিডো এলাকার কাছেই এই দ্বীপ৷ প্রুসিয়ান সম্রাট দ্বিতীয় ফিডরিশ ভিলহেল্ম এই দ্বীপে কৃষি খামার গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নেয়া দ্বীপটিতে এখন অনেক ময়ূরের দেখা পাওয়া যায়৷
ওয়াটার বাফেলো
ফাওয়েনইনজেলে ওটায়ার বাফেলোদের দেখা মেলে৷ বার্লিনের অন্যপ্রান্তে টেগেলার ফ্লিজ ঝর্ণার পাশাপাশি সেখানকার ১৩টি ওটায়ার বাফেলো অন্যতম আকর্ষণ৷ এছাড়া এই এলাকাটিকে বার্লিনের অন্যতম সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ বলা হয়৷
শহরের মাঝে গ্রামীণ জীবন
টেগেলার ফ্লিজ ঝর্ণার পাশ দিয়ে যদি আপনি হাইকিং করতে চান, তাহলে আল্ট-ল্যুবার্স যেতে ভুলবেন না৷ রাইনিকেনডর্ফের এই অংশটি বার্লিনের সবচেয়ে পুরোনো গ্রাম৷ এখানে প্রচুর চাষের জমি রয়েছে৷ বার্লিন শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ৩০মিনিটের দূরত্বে এই এলাকাটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর৷
আছে কেবল কার
আল্পসের মতো পর্বত হয়ত বার্লিনে নেই, কিন্তু কেবল কার আছে৷ মারসান এলাকার পূর্বে একটি পার্কে ২০১৭ সালে এগুলো নির্মাণ করা হয়৷ ৬৪টি কেবল কার, এর মধ্যে ৬টিতে আছে কাচের মেঝে৷ কেবলকারে চড়ে পুরো শহর দেখা যায়৷
যেন অজানা কোন পৃথিবী
জুরাসিক পার্ক সিরিজের দ্বিতীয় চলচ্চিত্রে ‘লস্ট ওয়ার্ল্ড’ দেখানো হয়েছিল৷ প্ল্যান্টারভাল্ডে গেলে আপনার ঠিক সেইরকম অনুভূতি হবে৷ স্প্রি নদীর উপর এই স্থানটি একসময় ছিল বিনোদন পার্ক৷ সেখানে গেলে এখনো পুরোনো ভূতের ট্রেনের দেখা পাবেন আপনি, আছে ফেরির চাকা আর ডাইনোসরও৷ তবে সব ভাস্কর্যের ভগ্নদশা৷ ২০০২ থেকে এখানে সাধারণের প্রবেশ নিষেধ৷
গণেশ মন্দির
নয়কোলনের ফোল্কসপার্ক হাসেনহাইডে রয়েছে এই গণেশ মন্দির৷ ২০০৯ সালে শুরু হয়ে নির্মাণ কাজ এখন শেষের দিকে৷ মন্দিরের ল্যান্ডমার্ক হলো ১৭ মিটার লম্বা টাওয়ার৷
পানির নীচের পৃথিবী
বার্লিন মিটেতে আছে আকুয়াডোম, বিশ্বের সবচেয়ে বড় সিলিন্ডার আকৃতির অ্যাকুরিয়াম৷ বর্তমানে এর সংস্কার কাজ চলছে৷ প্রায় ১৫শ’ ট্রপিকাল মাছের দেখা পাওয়া যায় সেখানে৷