বাভারিয়াতে চীনা সেনাদের প্রশিক্ষণ
জার্মান সেনাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি৷ জার্মানির বাভারিয়ান রাজ্যের ফেল্ডক্রিশেনে প্রশিক্ষণটি চলছে৷ মহামারীর মতো ভয়ঙ্কর অবস্থা সামাল দিতেই এই আয়োজন৷ যার নাম ‘কম্বাইন্ড অ্যাইড ২০১৯’৷
বিশেষ সাঁজোয়াযান
উদ্ধার তৎপরতা জন্য বিশেষভাবে তৈরি চীনের এই সাঁজোয়াযানটি জাহাজে করে আনা হয় হামবুর্গে৷ তারপর আনা হয় অনুশীলনের মাঠে তথা ফেল্ডক্রিশেনে৷ ৯২ চৈনিক আর ১২০ জার্মান সেনাদের নিয়ে এই অনুশীলন৷ জার্মান সেনাদের মধ্যে নারীরাও রয়েছেন৷ তারা শিখছেন স্বাস্থ্যসেবার নানা কৌশল৷
সাধারণ অনুশীলন নয়!
জরুরি স্বাস্থ্যসেবার বিশেষ অনুশীলনটি চলবে ১৭ জুলাই পর্যন্ত৷ সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যৌথ এই প্রশিক্ষণ জার্মান ইতিহাসের প্রথম প্রয়াস৷ তবে ২০১৬ সালে ৩৮ বুন্দেসবের সেনারা চীনে এমন একটি প্রশিক্ষণে অংশ নেয়৷
ভিন্নরকমের হাসপাতাল
কল্পিত এক মিশন৷ শরণার্থী ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়েছে কলেরা৷ অনেক লোক আক্রান্ত৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে চীনা সেনাদের পাঠিয়েছে জাতিসংঘ৷ নিজেদের সঙ্গে বহনযোগ্য হাসপাতাল নিয়ে আসেন চীনা সেনারা৷ সেখানেই সেবা দেয়া হবে আক্রান্তদের৷ আর এই হাসপাতালটি এমন, প্রয়োজন হলে যখন ইচ্ছে ভাঁজ করে নেয়া যাবে যেখানে সেখানে৷
মূহূর্তেই প্রস্তুত
বুন্দেসবেরের এক প্রতিবেদন বলছে, ‘‘চীনা সেনারা খুব দ্রুত তাদের যন্ত্রপাতিগুলো দিয়ে কাজ শুরু করতে পারে৷ যা খুবই দুর্দান্ত৷’’ চীনের আধুনিক তাঁবুগুলো মূহূর্তের মধ্যে টানানো সম্ভব৷ আর যন্ত্রপাতিগুলো সামলে নেয়ার ক্ষেত্রেও তাদের দক্ষতা অসাধারণ৷
স্বাস্থ্যসেবা প্রশিক্ষণ
২০১৬ সালে চীনে হয় যৌথ মহড়া৷ প্রশিক্ষণের মূল বিষয় ছিল, ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতা৷ এদিকটায় চীনের অভিজ্ঞতাটা বেশ দারুণ৷ ২০০৮, ২০১০ এবং ২০১২ সালের ভূমিকম্প বিপর্যয়ের ৪০ থেকে ৫০ হাজার আহত লোকের দেখাশোনা করেছিল চীনা আর্মিরা৷ ২০১৯ সালের অনুশীলনটিও মেডিকেল স্টাফদের নিয়ে, যা দুই দেশের সামরিক সহযোগিতার প্রথম ধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
ইংরেজি দক্ষতা
যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণকারীদের কথা বলতে হবে ইংরেজিতে৷ কেউ অপরাগ হলে একজন অনুবাদক সঙ্গে রাখতে হবে৷ জার্মান সেনারা বলছেন, সীমান্তে কোনো রোগ ভয়াবহ ভাবে ছড়িয়ে গেলে তা সামাল দিতে এই অনুশীলন খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখবে৷
মিলেমিশে একাকার
বেসামরিক মানুষদের রোগের হাত রক্ষা করার মিশন নিয়ে এই প্রশিক্ষণ৷ কারণ মানুষের জন্য শান্তির পৃথিবী গড়া সেনাসদস্যের কাজ৷ কম্বাইন্ড অ্যাইড ২০১৯-মহড়ার জন্য জার্মান এবং চীনের পতাকা দিয়ে একটি বিশেষ লোগোও তৈরি হয়েছে৷