বাঘের জিম্বাবোয়ে শিকার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০আগের দিনই উঁকি দিতে শুরু করেছিল জয়৷ মুশফিকুর রহিমের হার না মানা ডাবল সেঞ্চুরি আর অধিনায়ক মুমিনুল হকের সেঞ্চুরি ৫৬০ রানের (৬ উইকেটে, ডিক্লেয়ার্ড) যে পাহাড় গড়ে দিয়েছিল, তৃতীয় দিন শেষে নয় রানে দুই উইকেট খোয়ানোয় বোঝা যাচ্ছিল এ পাহাড়ে চাপা পড়বেই সফরকারীরা৷ হয়েছেও তাই৷ মুশফিকের অপরাজিত ২০৩-এর চেয়েও ১৪ রান কম করে গুটিয়ে গেছে ক্রেগ আর্ভিনের দল৷ বৃষ্টি কিছুটা অপেক্ষায় রাখলেও আবার খেলা শুরুর পর নাঈম হাসান ৮২ রানে পাঁচ আর তাইজুল ইসলাম ৭৮ রানে চার উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দিয়েছেন তাদের৷
এ জয়ে কী কী পেলো জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে আবার দাপট দেখানো টাইগাররা? পেয়েছে ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জয়ের আনন্দ৷ মুশফিক পেয়েছেন দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান আর সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড৷ নাঈম হাসানও ম্যাচে নয় উইকেট (৭০/৪, ৮২/৫) পেয়েছেন এই প্রথম৷ সঙ্গে দুই ইনিংস মিলিয়ে তাইজুলের ছয় উইকেট আর বাংলাদেশের একমাত্র ইনিংসে তামিম ইকবালের ৪১, নাজমুল হাসান শান্তর ৭১ আর লিটন দাশের ৫৩ রানকে হিসেবে নিলে ব্যক্তিগত প্রাপ্তি নেহায়েত কম নয়৷ সব মিলিয়ে মিরপুরের এ জয় যে
আত্মবিশ্বাস ফেরানোর টনিক হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ এই টনিকে পরের ম্যাচ জিতে সিরিজও হয়ত জেতা হয়ে যাবে৷
কিন্তু জিম্বাবোয়ে সিরিজের পর টেস্টে আবার সেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশকে৷ ৯ এপ্রিল থেকে করাচির গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে শুরু হবে তিন পর্বের পাকিস্তান সফরের দ্বিতীয় টেস্ট৷
শুধু মিরপুরের ইনিংস জয় থেকে নয়, রাওয়ালপিন্ডির ইনিংস হার থেকে শিক্ষা নিয়েও খেলতে হবে সেই ম্যাচ৷ নইলে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে পাওয়া এই আত্মবিশ্বাস আত্মঘাতী হতে বাধ্য৷ ভুললে চলবে না, পাকিস্তানের পেস বোলিং, স্পিন বোলিং অনেক ভালো; ব্যাটসম্যানরাও তাইজুল, নাঈমদের বোলিংয়ে কাঁপে না!