1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

বাখমুত থেকে পালিয়েছে রুশ সেনা: ভাগনার প্রধান

১০ মে ২০২৩

রাশিয়ার অসরকারি সেনা ভাগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, বাখমুত ছেড়ে পালিয়েছে রুশ সেনা।

https://p.dw.com/p/4R7OY
ভাগনার প্রধান প্রিগোজিন।
ভাগনার প্রধান প্রিগোজিন। ছবি: Konkord Company/Tass/IMAGO

বাখমুতে ভাগনার বাহিনী অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে। প্রিগোজিন জানিয়েছেন, ''রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বাহিনী শহরের একটা প্রান্ত থেকে পালিয়েছে। ফলে সেদিকটা অরক্ষিত হয়ে গেছে।''

প্রিগোজিনকে পুটিনের শেফ বলা হয়, কারণ, তিনি আগে ক্রেমলিনের ক্যাটারিং কন্ট্রাক্ট পেয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ''রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যুদ্ধ করার চাইতে চেঁচামিচি বেশি করছে।''

রাশিয়ার সেনা এমন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছেড়ে কেন পালালো তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রিগোজিন। তিনি বলেছেন, ''রাশিয়ার কম্যান্ডাররা বোকার মতো নির্দেশ দিচ্ছে। তাদের এই সব ক্রিমিনাল নির্দেশের জন্যই সেনা পালিয়েছে। বোকার মতো নির্দেশের জন্য সেনা মারা যাবে তা হয় না।'' 

বাখমুত অধিকারের জন্য ভাগনারের উপরই নির্ভর করছে রাশিয়া। তারাই  সেখানে রুশ আক্রমণের পুরোভাগে আছে। গত কয়েকমাস ধরে লড়াই করেও বাখমুতে ইউক্রেনের সেনাকে পুরোপুরি সরানো যায়নি। কিছুদিন আগে ভাগনার জানিয়েছিল, তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ না দিলে তারা বাখমুত ছেড়ে চলে আসবেন। তারপর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেয়ার কথা জানায়।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া ৯ মে বিজয় দিবসের আগে বাখমুত অধিকার করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা পারেনি।

এএফপি সাংবাদিকের মৃত্যু

বাখমুতের কাছেই ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে ছিলেন এএফপির ভিডিও কোঅর্ডিনেটর আরমান সলডিন। ইউক্রেনের সেনার উপর রকেট হামলা করে রাশিয়ার বাহিনী। তাতেই ৩২ বছর বয়সি ফরাসি নাগরিক সলডিনের মৃত্যু হয়। এএফপি চেয়ারম্যান বলেছেন, সংবাদসংস্তা তার মৃত্যুতে বিপর্যস্ত বোধ করছে।

বেয়ারবক-গ্যাং বৈঠক

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তারা চান, রাশিয়ার সেনা যেন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস অন্য দেশ থেকে না পায়।

চিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোনো দেশ যদি একতরফা চীন বা সেদেশের সংস্থার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাহলে তারা তার প্রবল বিরোধিতা করবেন।

ইইউ এখন রাশিয়ার অস্ত্র কারখানাগুলিকে সাহায্য করার জন্য কয়েকটি চীনা সংস্থার বিরুদ্ধে নিযেধাজ্ঞা জারির কথা ভাবছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)