বাংলাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১০এই মুহূর্তে যমুনা সহ ৬টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে৷ অবিরাম বৃষ্টি আর উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনার পানি বেড়েই চলেছে৷ চৌহালি, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার দুর্গতরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে৷ এসব এলাকার ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে৷
গাইবান্ধায় তৃতীয় দফা বন্যায় পানিবন্দি হযে পড়েছেন ৩০ হাজার মানুষ৷ ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, যমুনা, ঘাঘট ও করতোয়াসহ সব নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে৷ এতে সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের ৬৪টি গ্রাম পানিতে ডুবে গেছে৷
জামালপুরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে৷ যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷ ৫ উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন৷ ডুবে গেছে রোপা আমন ও ফসলী জমি৷
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে৷ ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় উলিপুর, রৌমারী ও রাজিবপুরে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন৷ ডুবে গেছে ১০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন৷
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আমীর হোসেন জানিয়েছেন, বাহাদুরাবাদ, চিলমারী, সিরাজগঞ্জ, ভাগ্যকুল ও গোয়লন্দসহ ১১টি পয়েন্টে বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেছে৷ এরমধ্যে সবচেয়ে পানি বেড়েছে ভাগ্যকুল ও গোয়ালন্দে৷ তিনি জানান, খুব বেশী বৃষ্টি না হলেও উজানের পানিতেই আগামী ৩ দিনে নদী আরো স্ফীত হবে৷
আবহাওয়া অধিদপতর অবশ্য বলেছে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি এখনো স্বভাবিক৷ আবহাওয়ার খুব বেশী হেরফের না হলে বঙ্গোপসাগর এবং উপকূলীয় এলাকায় ৩ নম্বর সতর্ক বার্তা কমানো হতে পারে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ