রপ্তানি বাণিজ্য
৫ মার্চ ২০১২বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে রপ্তানির পরিমাণ গত বছর ৫০ ভাগ বেড়েছে৷ আর জার্মানিতে এই রপ্তানি আরো বাড়ানো যেত, যদি বাংলাদেশের ইমেজ এবং ব্র্যান্ডিং-এর সমস্যা না থাকতো৷ বাংলাদেশ-জার্মান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা বিজিসিসিআই-এর নতুন সভাপতি আবু সাখাওয়াত ডয়চে ভেলেকে জানান, ইমেজ এবং ব্র্যান্ডিং-এর সমস্যা যদি বাংলাদেশ কাটিয়ে উঠতে পারে তাহলে বাংলাদেশ রপ্তানি যেমন বাড়াতে পারবে, তেমনই আসবেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা৷
তিনি বলেন, জার্মানিতে তৈরি পোশাকসহ কিছু প্রচলিত পণ্য দিয়ে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হলেও এখন সেখানে বাংলাদেশের সমূদ্রগামী জাহাজ রপ্তানি হচ্ছে৷ তিনি বলেন, তৈরি পোশাকের মতোই বাংলাদেশের জাহাজ জার্মানি ও ইউরোপের বাজারে অবস্থান করে নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷
বিজিসিসিআই-এর বিদায়ি সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ইমেজ, অবকাঠামো ছাড়াও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রয়োজন আইনী কাঠামো৷ কারণ, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তাদের বিনিয়োগের নিরাপত্তা চান৷
ওদিকে ঢাকায় জার্মান রাষ্ট্রদূত হলগার মিশায়েল ডয়চে ভেলেকে বলেন, জার্মানি ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনার দুয়ার নতুন খুলে গেছে৷ তিনি বলেন, সব কিছুর মূলেই হল রাজনৈতিক সম্পর্ক৷ সেই সম্পর্ক দিনে দিনে দৃঢ় হচ্ছে৷ জার্মান বিনিয়োগকারীরা এখন বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদে বিনিয়োগ করতে চান৷ আর সেই বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত হলে তারা এখানে নানা খাতে বিনিয়োগ করবেন৷ তবে এজন্য প্রয়োজন বিনিয়োগের পরিবেশ৷
তিনি জানান, জার্মানি এবং বাংলাদেশের মধ্যে শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগই বাড়ছে না৷ এক্ষেত্রে নতুন নতুন রপ্তানি-পণ্যও যোগ হচ্ছে৷ বাড়ছে বৈচিত্র্য৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ