বাঁশের বন্দুক, সুলতানি পিস্তল থেকে ইনসাস
সুলতানি আমলের বন্দুক থেকে অত্যাধুনিক রাইফেল, বিপুল আগ্নেয়াস্ত্রের সম্ভার নিয়ে প্রদর্শনী হচ্ছে ইছাপুর রাইফেল কারখানায়।
শতাব্দীপ্রাচীন কারখানা
১৯০৪ সালে ব্রিটিশ ভারতে তৈরি হয়েছিল ইছাপুর রাইফেল কারখানা। কলকাতার অদূরে এই আগ্নেয়াস্ত্রের কারখানা এখনো অত্যাধুনিক বন্দুক তৈরি করে।
বন্দুকের প্রদর্শনী
এতদিন এই কারখানায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫তম বছর উপলক্ষে সেই কারখানাতেই শুরু হয়েছে প্রদর্শনী। সাধারণ মানুষ মিউজিয়ামে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
মাস্কেট গান
সিপাহী বিদ্রোহের সময় তৈরি হয়েছিল এই মাস্কেট গানগুলি। বিদ্রোহী জওয়ানদের সঙ্গে এই বন্দুক নিয়ে লড়াই করেছিল ব্রিটিশ বাহিনী।
খুদে পিস্তল
সুলতানি আমলের এই পিস্তল শেরওয়ানির নীচে লুকিয়ে রাখা যেত। মুঘল আমলে এই পিস্তল অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল।
পয়েন্ট ৩২ বোরের পিস্তল
দিল্লিতে নির্ভয়া কাণ্ডের পরে এই পিস্তল তৈরি হয়েছিল নারীদের সুরক্ষার জন্য। খুব ছোট আকারের এই পিস্তল ঢুকে যায় ভ্যানিটি ব্যাগে। তবে এই পিস্তল কিনতে গেলে লাইসেন্স রাখতে হবে।
কার্গিল যুদ্ধের ইনসাস
কার্গিল যুদ্ধের সময় এই ইনসাস রাইফেল তৈরি হয়েছিল ইছাপুর কারখানায়। স্বয়ংক্রিয় এই রাইফেল এখনো সেনা মহলে জনপ্রিয়।
রাইফেল এলএমকে তিন
এলএমকে গ্রুপের রাইফেল ইছাপুরে নিয়মিত তৈরি হয়।
ব্রেন গান
এই রাইফেলের নাম ব্রেন গান। অনেক দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এই দূরপাল্লার রাইফেল।
স্নাইপার গান
দেশের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বডিগার্ডরা ব্যবহার করে এই স্নাইপার। নেতাদের মুভমেন্টের সময় দূর থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্র তাক করা থাকে।
বাঁশের বন্দুক
এই বন্দুকও শতাব্দীপ্রাচীন। বাঁশের খোল থেকে তৈরি করা হয়েছে এই আগ্নেয়াস্ত্র।
ইছাপুর কারবাইন
কারবাইনের এই মডেল শুধুমাত্র ইছাপুরেই তৈরি হয়। তাই এর নামে জুড়ে গেছে ইছাপুর শব্দটি।