বসবাসের জন্য জার্মানির সেরা ৫টি শহর
জার্মান গণমাধ্যম জেডডিএফ সম্প্রতি জার্মানিতে বসবাসের উপযোগী সবচেয়ে ভালো পাঁচটি শহরের র্যাঙ্কিং করেছে৷ তিন বিষয়ের বিবেচনায় র্যাঙ্কিং হয়৷ সেগুলো হলো কাজ ও বসবাস, অবসর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা৷
মিউনিখ
তালিকার শীর্ষে রয়েছে বাভেরিয়ার রাজধানী মিউনিখ৷ বিস্তৃত ইংলিশ গার্ডেন পার্ক, জাদুঘর, অক্টোবর ফেস্টের মতো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পাহাড়ঘেরা প্রকৃতি শহরটিকে তলিকার প্রথমে রেখেছে৷ বছরে সবচেয়ে বেশি সূর্যালোকও পায় মিউনিখ৷ এই শহরে মেয়েদের জীবনযাত্রার গুণগত মান জার্মানির অন্যান্য শহরের মধ্যে অন্যতম৷ তাছাড়া মিউনিখে অন্যান্য শহরের তুলনায় দারিদ্র ও অপরাধের মাত্রাও অনেক কম৷
হাইডেলব্যার্গ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাডেন-ভ্যুরটেমব্যার্গ প্রদেশের এই শহরটি প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এবং সংরক্ষিত মধ্যযুগীয় সিটি সেন্টারের কারণে প্রসিদ্ধ৷ ১৩৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত জার্মানির সবচেয়ে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়টি রয়েছে এই শহরে৷ তবে শীর্ষ শহরের মধ্যে স্থান করে নিতে ‘অবসর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য’ বিভাগে হাইডেলব্যার্গ পেয়েছে বেশি নম্বর, কেননা শহরটিতে রয়েছে প্রকৃতির অফুরন্ত দান, আর সাংস্কৃতিক বিচিত্রতা৷
স্টার্নব্যার্গ
মিউনিখ থেকে খুব বেশি দূরে নয় স্টার্নব্যার্গ৷ একই নামের লেইকের পাশে অবস্থিত স্টার্নব্যার্গ জার্মানির অন্যতম ধনী শহর৷ কেননা এই শহরের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি৷ ক্রয় ক্ষমতা এবং পুরুষের জীবনযাত্রার মানের দিক থেকে এটি সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে৷ গত সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে এই শহরের ভোটার উপস্থিতি ছিল সবচেয়ে বেশি৷ বিশ্বখ্যাত সিমেন্স-এর পারিবারিক সদস্যদের বসবাস এই শহরে৷
পোস্টডাম
তালিকায় ঠাঁই পাওয়া একমাত্র শহর পোস্টডাম, যেটা জার্মানির পুরো দক্ষিণে অবস্থিত নয়৷ বার্লিনের অনতিদূরের এই শহরটিতে রয়েছে বিলাসবহুল প্রাসাদ এবং পার্ক৷ কেননা, এটি কয়েক প্রজন্ম ধরে প্রুসিয়ান রাজবংশের বাসস্থান ছিল৷ ‘অবসর ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য’ বিভাগে এটি পেয়েছে সর্বোচ্চ নম্বর৷ এর রয়েছে ঝকঝকে সূর্যালোক, লাইব্রেরি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পর্যটনের কাঠামো৷
গার্মিশ-পার্টেনকিরশেন
মূলত একটি রোমান শহর৷ পাশে রয়েছে জার্মানির সর্বোচ্চ চূড়া, সুগসপিৎসে পর্বত৷ অস্ট্রিয়ার সীমান্তে শহরটি অবস্থিত৷ ‘স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা’ বিভাগে এই শহরটি র্যাঙ্কিংয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে৷ এই শহর পর্যটকদের কাছে স্কি আর পর্বত আরোহণের জন্য খুব জনপ্রিয়৷ বড় পাথরের বাঁধানো রাস্তা আর দেয়ালচিত্রের কারণে শহরটি বিখ্যাত৷