1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বসনিয়ার শরণার্থী শিবিরে আগুন

২৪ ডিসেম্বর ২০২০

আগুনে তছনছ বসনিয়ার একটি শরণার্থী শিবির। অভিযোগ, বসবাসকারীরাই আগুন লাগিয়েছেন।

https://p.dw.com/p/3nB58
বসনিয়ার ক্যাম্পে আগুন
ছবি: Dragan Maksimovic/DW

প্রায় বারোশ শরণার্থী বাস করছিলেন উত্তর-পশ্চিম বসনিয়ার লিপা শরণার্থী শিবিরে। বুধবার সেই ক্যাম্পে আগুন লেগে যায়। বসনিয়া প্রশাসন এবং শরণার্থী শিবির পরিচালকদের বক্তব্য, ওই ক্যাম্পের মানুষই আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। কারণ, বুধবারই ওই শিবির বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য থেকে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী বসনিয়ায় আটকে পড়েছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য তাঁরা রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু বসনিয়ায় পৌঁছানোর পরে তাঁরা আর এগোতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে অধিকাংশ শরণার্থীই জঙ্গলে বসবাস করছিলেন। কেউ কেউ বেছে নিয়েছিলেন বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শেড অথবা ভাঙা বাড়ি। পরে সংবাদমাধ্যমে সে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরে অধিকার আন্দোলনকারীরা সরব হন। কয়েকটি ক্যাম্প তৈরি করা হয় শরণার্থীদের জন্য। যদিও তা মোট শরণার্থীর তুলনায় নেহাতই অপ্রতুল।

লিপার শিবিরও তেমনই একটি ক্যাম্প ছিল। তৈরির সময়েই বলা হয়েছিল, এই শিবির সাময়িক। বুধবার যে ক্যাম্প গুটিয়ে নেওয়া হবে, তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ ক্যাম্পে বসবাসকারীরা এই ঠান্ডার মধ্যে কোথায় গিয়ে থাকবেন, সে বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। ফলে বুধবার ক্যাম্প ছাড়ার সময় ক্ষুব্ধ বসবাসকারীরা সেখানে আগুন লাগিয়ে দেন বলে অভিযোগ।

আশ্রয় হারানো এই শরণার্থীরা ইউরোপের প্রবল শীতে ফের জঙ্গলে গিয়ে থাকবেন। বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে আরো বহু আশ্রয়হীন মানুষের সঙ্গে যোগ দেবেন। ভাঙা বাড়ি, কারখানার শেডে দিন কাটাবেন। অভিযোগ, যে শিবিরে তাঁরা ছিলেন, সেখানেও বিদ্যুৎ ছিল না। ব্যবস্থা ছিল না হিটিংয়েরও।

বসনিয়ায় আটকে পড়া শরণার্থীদের এখনো পর্যন্ত আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি ইউরোপের কোনো দেশ। বসনিয়াও স্থায়ী ভাবে এই শরণার্থীদের রাখতে আগ্রহী নয়। যে কারণে, তাঁদের জন্য কোনো স্থায়ী ব্যবস্থাও করা হচ্ছে না। শরণার্থীদের অভিযোগ, ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে তাঁদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে সেখানকার পুলিশ। সব মিলিয়ে এই প্রবল শীতে দুর্বিসহ অবস্থা শরণার্থীদের।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)