1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজবসনিয়া ও হ্যারৎসেগোভিনা

বসনিয়ার যে ক্যাফেতে ডাউন সিন্ড্রোম থাকা মানুষেরা কাজ করেন

৮ ডিসেম্বর ২০২৩

বসনিয়ার ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব' ক্যাফেতে ডাউন সিন্ড্রোম থাকা মানুষেরা কাজ করেন৷ শুরুতে ক্রেতা না পেলেও সামাজিক মাধ্যমে সফল ক্যাম্পেইনের পর সেটি এখন অনেক ক্রেতা পাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/4ZvrU
বসনিয়ার ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব' ক্যাফেতে কাজ করছেন ডাউন সিন্ড্রোম থাকা এক ব্যক্তি৷
বসনিয়ার ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব' ক্যাফেতে কাজ করেন ডাউন সিন্ড্রোম থাকা মানুষেরা৷ ছবি: DW

সাশা সুনিয়াকের কাছে তার চাকরিই সব৷ তিনি ‘ক্লাব স্মায়েভো সারসা' বা ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব' ক্যাফেতে কাজ করেন৷ সাশার হৃদয়টা একজন যোদ্ধার মতো: কখনও হাল ছাড়েন না, এমনকি কঠিন সময়েও৷ ‘‘আমার খুব ভালো লাগে, আনন্দ হয়৷ এখানে কাজ করতে ভালোবাসি, আমার সবসময় ভালো লাগে! কোনো বিশ্রাম না নিয়ে আমি ২৪ ঘণ্টাই কাজ করতে পারবো,'' বলেছিলেন সাশা সুনিয়াক৷

তার সহকর্মী বরিস কুসুমোভিচ কথা বলতে পারেন না, কিন্তু তাতে সমস্যা নেই৷ তিনি এমনকি, ক্যাফেতে একটি বিছানা রাখতে চেয়েছিলেন, যেন রাতটা সেখানেই কাটাতে পারেন৷

তারা দুইজন ভাগ্যবান৷ বসনিয়ায় এমন ক্যাফে একটিই আছে৷

স্মায়েভো সারসা এসোসিয়েশনের ওমর ইসোভিচ জানান, ‘‘তাদের চেহারার দিকে তাকালে, তাদের পরিবারের দিকে তাকালে আপনি বুঝবেন যে, এই ক্যাফে তাদের জন্য যেন দ্বিতীয় বাড়ি হয়ে উঠেছে৷ তাদের মা-বাবারা বলছেন, তাদের সন্তানেরা আগে কখনও এতটা আনন্দে ছিলেন না৷''

তবে প্রকল্পটা শুরুতে ব্যর্থ হতে চলেছিল৷ কারণ, প্রথম কয়েক মাস অতিথি তেমন পাওয়া যাচ্ছিল না৷ পাশের ক্যাফেতে অনেকে গেলেও ড্রাগনস হার্টে কেউ যেতেন না৷

ডাউন সিনড্রোমের মানুষদের নিয়ে ‘ড্রাগনস হার্ট ক্লাব’

তবে এডিমা এফেনডিচ-জিনিচ ব্যতিক্রম ছিলেন৷ তিনি সাশাকে ছোটবেলা থেকেই চিনতেন৷ তাই প্রায় প্রতিদিনই সাশার ক্যাফেতে যেতেন৷ কয়েক সপ্তাহ আগের এক শনিবারে তিনিই একমাত্র অতিথি ছিলেন৷ ওমর তার ছবি তুলেছিলেন৷

এডিমা এফেনডিচ-জিনিচ বলেন, ‘‘আমি জানতাম না, ওমর ছবি তুলেছিলেন৷ একদিন উনি আমাকে বলছিলেন যে, উনি ক্লাবটা এ মাসের শেষে বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেবেন৷ আমি বলেছিলাম, এমন করতে হবে না৷ তিনি বলেছিলেন, এভাবে চালানো সম্ভব নয়৷''

ওমর ইসোভিচ বলেন, ‘‘বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর সব বদলে যায়! প্রথমে স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, তারপর জাতীয় গণমাধ্যমে৷ হঠাৎ করেই সকাল, সন্ধ্যা সবসময় আমরা ক্রেতা পাওয়া শুরু করি৷ প্রথম দুই, তিন সপ্তাহে টেবিল পাওয়া সহজ ছিল না৷''

ওটা অবিশ্বাস্য ছিল৷ এরপর থেকে খুব ভালো চলছে৷ ক্রেতারাও প্রশংসা করছেন৷ এক ক্রেতা বলেন, ‘‘আমি আপনাকে বলছি, এটা অন্যতম সেরা ক্যাফে! খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন৷ আর সার্ভিসও উঁচুমানের৷'' আরেকজন জানান, ‘‘প্রথমে খুব অবাক হয়েছিলাম৷ আশা করিনি, কিন্তু তাতে কী! আমার মনে হয়, তারা আমাকে ও অন্য অতিথিদের অন্যান্য জায়গার চেয়ে একটু বেশি সম্মান ও বন্ধুত্বের সঙ্গে সেবা দিয়েছেন৷''

এখন অন্য এলাকায়ও এমন ক্যাফে খোলা হচ্ছে৷

ফাইট-উলরিশ ব্রাউন/জেডএইচ

২০১৮ সালে তৈরি একটি ছবিঘর: