বলিভিয়ায় ব্য়র্থ সেনাবিদ্রোহের পর গ্রেপ্তার ১৭
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে বর্তমান এবং সাবেক সেনা কর্তা এবং প্রশাসনের অফিসারেরা আছেন।
ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহ
বুধবার সেনা বিদ্রোহের চেষ্টা হয় বলিভিয়ায়। সেনা বাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি প্রেসিডেন্টের প্য়ালেস ঘিরে ফেলে। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিদ্রোহ সফল হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্রোহ ব্য়র্থ হয়ে যায়।
বিদায়ী সেনা কম্য়ান্ডারের বিদ্রোহ
বলিভিয়ার বিদায়ী সেনা কম্যান্ডার হুয়ান হোসে জুনিগা এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্রোহ ব্য়র্থ হওয়ার পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেই ঘটনার জের
বিদ্রোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বৃহস্পতিবার আরো ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলিভিয়ার প্রশাসন। এর মধ্যে প্রথম সারির সেনা কর্তা আছেন। এছাড়াও বেশ কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরো গ্রেপ্তারের আশঙ্কা
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আরো বেশ কিছু ব্যক্তিকে খোঁজা হচ্ছে। তারাও সরাসরি এই বিদ্রোহের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় বেশ কিছু সাধারণ মানুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সরাসরি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
কী ঘটেছিল
বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ প্রেসিডেন্টের বাড়ি ঘিরে ফেলে বিদ্রোহী সেনারা। বেশ কিছু সেনা জওয়ানকে প্য়ালেসের ভিতরে ঢুকতে দেখা যায়। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি বিদ্রোহ। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্রোহী সেনারা আত্মসমর্পণ করেন।
সেনা কম্য়ান্ডার বদলি
বিদ্রোহী সেনারা যখন প্য়ালেসের ভিতর ঢুকে পড়েছে, তখনই নতুন সেনা কম্য়ান্ডারের নাম ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট। নতুন কম্যান্ডার দায়িত্ব পেয়েই বিদ্রোহী সেনাদের ব্য়ারাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্য়েই বিদ্রোহ ব্য়র্থ হয়।
গণতন্ত্রের স্বার্থে
ঘটনার পরেই গণতন্ত্র রক্ষা করার আবেদন জানান প্রেসিডেন্ট। ততক্ষণে প্রেসিডেন্টের সমর্থকেরা প্রাসাদে পৌঁছে গেছেন। প্রাসাদ ঘিরে ধরে তারা প্রেসিডেন্টের নামে স্লোগান দিতে থাকেন।
বিশ্বনেতাদের নিন্দা
অ্যামেরিকা থেকে ইউরোপ, বিশ্বের অধিকাংশ নেতাই এই সেনা বিদ্রোহের নিন্দা করেছেন। একইসঙ্গে যেভাবে সেখানে বিদ্রোহ ব্য়র্থ হয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন তারা।