বর্ষবরণের রাতে জার্মানরা যা করেন
এটা এমন এক রাত যা গোটা বিশ্বেই উদযাপন করা হয়৷ তবে ‘সিলভেস্টার’ বা বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে জার্মানদের রয়েছে নিজস্ব কিছু প্রথা৷ ছবিঘর থেকে জেনে নিন সেগুলো কী কী৷
নতুন বছরে প্রবেশ
নতুন বছর শুরুর আগেই পরিচিতরা একে-অন্যকে ‘গুটেন রুচ’ জানান৷ এর অর্থ হচ্ছে আপনার নতুন বছরে প্রবেশটি যেন মসৃণ হয়৷ সেই পথে যেন কোনো বাধা-বিঘ্ন না থাকে৷
সৌভাগ্য কামনা
যদি কোনো জার্মান বর্ষবরণের আগে আপনাকে এই ছবির মতো কোনো উপহার দেন, তাহলে আপনার সেটা পছন্দ নাও হতে পারে৷ তবে খেয়াল রাখবেন এই উপহারের অর্থ হচ্ছে তিনি আপনার সৌভাগ্য কামনা করছেন৷
ঘণ্টার পর ঘণ্টা খেতে পারেন
বর্ষবরণের রাতে বিভিন্ন পার্টতে শুধু ফিঙ্গার ফুডেই পেট ভরাতে পারেন আপনি৷ তবে অনেকে আবার এমন সব মেন্যু বানান সেরাতে, যেগুলো কয়েকঘণ্টা ধরে খাওয়া যায়৷ জার্মানরা বছরের শেষ খাবারটা সময় নিয়ে খেতে পছন্দ করেন৷
গলে যাওয়া সিসায় ভবিষ্যত
বর্ষবরণের রাতে অনেক জার্মান মোমের উপর চামচে সিসা রেখে তা গলান৷ এরপর সেই গলানো সিসা ঠান্ডা পানিতে ঢেলে দেওয়ার পর যে আকার ধারণ করে, তা থেকে নাকি আগামী বছরটা কেমন যাবে সেটা বোঝা যায়৷
চ্যান্সেলরের নতুন বছরের বক্তব্য শোনা
নতুন বছর উপলক্ষ্যে চ্যান্সেলরের ভাষণ জার্মানিতে একটা প্রথা৷ আঙ্গেলা ম্যার্কেলও এই বক্তব্য অনেকবার দিয়েছেন৷ আসলে এটা চলছে টেলিভিশন আবিষ্কার হওয়ারও আগে থেকে৷ ১৯৬৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথমবার চ্যান্সেলরের নতুন বছরের বাণী টেলিভিশনে করা হয়েছিল৷ এ সব ভাষণের অবশ্য বছরভেদে তেমন একটা পরিবর্তন হয় না৷ একবার নাকি ভুল করে একই বক্তব্য পরের বছর প্রচার হয়েছিল৷ অবশ্য সেটা তেমন কেউ টের পাননি৷
শুভ নববর্ষ
নতুন বছরের শুরুর মুহূর্তে আপনি আপনার পাশে থাকা আপনজনদের চুমু দিতে পারেন, নতুন বছরের জন্য সৌভাগ্য কামনা করতে পারেন৷ এরপর অবশ্য যাঁরা পাশে নেই তাঁদের ফোন করে শুভেচ্ছা জানানোটাই রেওয়াজ৷
পটকা, আতশবাজিতে বাধা নেই
বর্ষবরণের রাত গোটা জার্মানি পটকার শব্দে মুখর থাকে৷ আর আকাশে দেখা যায় নানা রঙের আতশবাজি৷ জার্মানরা সাধারণত রাতের বেলা শব্দ করা পছন্দ না করলেও, বর্ষবরণের রাতে এতে কোনো বাধা নেই৷