বর্তমানে ভারত অস্ত্রের বৃহত্তম ক্রেতা
২০ মার্চ ২০১১পাকিস্তানে সম্ভাব্য সিআইএ এজেন্টের অপ্রত্যাশিত কারামুক্তি সম্পর্কে সুদদয়েচে সাইতুং-এর মন্তব্য:
‘‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সিআইএ'র পদ্ধতিগুলি নিয়ে দ্বিধা আছে৷ ঐ সব পদ্ধতি দৃশ্যত কখনোসখনো মাত্রা ছাড়িয়ে যায়৷ কিন্তু এটা শুধু ঘটনাবলীর একটি দিক৷ পাকিস্তান নিজেই সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে তার নিজস্ব ভুলভ্রান্তির কথা কখনো স্বীকার করেনি৷ দেশকে ইসলামি বিপ্লবের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য রাষ্ট্র এবং ধর্মের পারষ্পরিক সম্পর্কের ব্যাপারে একটা খোলা বিতর্ক হওয়া প্রয়োজন৷... পাকিস্তানের গুপ্তচর বিভাগ আইএসআই ডেভিস সংক্রান্ত ঘটনাবলীর সুযোগ নিয়ে স্বদেশে সিআইএ'র গতিবিধির পরিধি কিছুটা সীমিত করার চেষ্টা করেছে৷ ডেভিস মামলার আরো একটি সুখকর ফলশ্রুতি হল, আইএসআই এই পন্থায় আফগানিস্তানেও আরো কিছুটা গতিবিধির সুবিধা পাবে৷... পশ্চিমের এই নতুন ফলশ্রুতি ভালো না লাগারই কথা৷''
আন্তর্জাতিক অস্ত্র বাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয়া একটি সেরা ঠিকানা৷ অস্ত্র আমদানিতে ভারত সবে চীনকে হটিয়ে প্রথম স্থানটি অধিকার করেছে৷ স্টকহোল্মের বিশ্বশান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রি'র একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে ফ্রাঙ্কফুর্টার রুন্ডশাও লিখছে:
‘‘চীন যে তার অস্ত্র আমদানি ব্যাপকভাবে কমিয়েছে, তার কারণ আকস্মিক শান্তিপ্রীতি নয়৷ চীন আপাতত তার নিজের অস্ত্রশিল্প গড়ে তোলার চেষ্টা করছে৷ ওদিকে চীনের বিকল্প হিসেবে ভারত অস্ত্রের বৃহত্তম ক্রেতা হয়ে উঠেছে৷ সিপ্রি'র বিশেষজ্ঞ সিমন ওয়েজেমান'এর মতে এর কারণ শুধু অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জনিত সমস্যাই নয়, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ: পাকিস্তানের সঙ্গে বিরোধ এবং চীনের সঙ্গে নতুন করে মাথা চাড়া দেওয়া উত্তেজনা৷''
দলাই লামা তাঁর রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নির্দেশ করে তিব্বতীদের গণতন্ত্রের পথে নিয়ে যেতে চান, লিখেছে ফ্রাঙ্কফুর্টার রুন্ডশাও৷ কিন্তু পত্রিকাটি যুগপৎ ভারতের ধরমশালায় নির্বাসিত তিব্বতী সংসদের অধ্যক্ষ পেনপা শেরিং'এর উদ্ধৃতি দিয়েছে:
‘‘তিব্বতীরা এই পদক্ষেপের জন্য এখনও প্রস্তুত নয়, বলে শেরিং মনে করেন৷ দলাই লামার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের দুয়ার মুক্ত, তিনি যা বলেন, সারা বিশ্বে তার গুরুত্ব থাকে৷ ‘অন্য কোনো তিব্বতী তা পারবে না৷'... এযাবৎ বিশ্বের কোনো দেশ নির্বাসিত তিব্বতী সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি৷''
গ্রন্থনা: আনা লেমান, অনুবাদ: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার