বরিস বেকার সম্পর্কে আপনি যা জানেন না
নভেম্বরে ৫০ বছর পা দিচ্ছেন বরিস বেকার৷ বলা বাহুল্য এই তারকার জীবনে খুব বেশি কিছু আর গোপন নেই৷ তা সত্ত্বেও ছবিঘরে থাকছে পাঁচটি তথ্য, যা আপনি সম্ভবত জানেন না৷
পেরেন্টিং কাউন্সিলর বরিস
বরিস বেকার যদিও তাঁর বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পরিচিত, তাসত্ত্বেও এই টেনিস তারকা ‘প্যারেন্টিং গাইড’ সংক্রান্ত একটি বই লিখেছেন৷ ২০০৭ সালে লেখা ‘হোয়াট মেকস চিলড্রেন স্ট্রং’ বইটিতে সেসময় তিন সন্তানের বাবা তাঁর সন্তানদের প্রতি ভালোবাসার গভীরতার কথা জানিয়েছেন৷ তবে বইটি খুব বেশি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি সমালোচকরা৷ আর এটি উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের চেয়ে তাঁর ভক্তরা কিনেছেন বেশি৷
ব্যতিক্রমী প্রতিভা বরিস
বরিস বেকারের সন্তানরা বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন এমনটা যারা ভাবছেন তারা ভুল ভাবছেন৷ তাদের কেউই ভালো টেনিস খেলতে পারেন না৷ বড় ছেলে নোয়ার বয়স ২৩ বছর যিনি একজন ডিজি এবং শিল্পী৷ ১৮ বছর বয়সি ইলিয়াস ইন্সটাগ্রাম তারকা হওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত আর বরিসের মেয়ে সতের বছর বয়সি আনা একজন সফল মডেল৷ বরিসের সবচেয়ে ছোট ছেলে আমেডিউস ভবিষ্যতে একজন পুলিশ হতে চান৷
বরিস বা মি. ক্লিন
আত্মগর্ব হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, একবার বলেছিলেন বরিস বেকার৷ এ জন্যই তিনি তাঁর চেহারা বাড়তি গুরুত্ব নেন৷ আর এজন্য শুধু দামি স্যুট পরাই নয়, পরিষ্কার পরিচ্ছনতার দিকেও বিশেষ মনোযোগী তিনি৷ দিনে তিনবার গোসল করেন বরিস৷ দেহটাকে সুস্থ রাখাকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এই তারকা৷
বরিসের মিতা
আশি এবং নব্বইয়ের দশকে জন্ম নেয়া কিছু ছেলের নাম রাখা হয় বরিস৷ এমনকি এক গবেষক নতুন এক প্রজাতির নামও দিয়েছেন এই নামে৷ ১৯৯৬ সালে জীববিজ্ঞানী ম্যানফ্রেড পার্থ সামুদ্রিক শামুকের একটি নতুন প্রজাতির সন্ধান পান এবং কয়েকবছর পর সেটির নাম রাখেন ‘বুফোনারিয়া বরিসবেকারি’৷
বরিস আইসক্রিম
টেনিস কোর্টে হিংস্র সার্ফের জন্য পরিচিত বরিস বেকার একসময় ‘বুম-বুম বরিস’ নামে পরিচিত ছিলেন৷ ১৯৮৫ সালে তিনি উইম্বলডন জেতার পর এক আইসক্রিম কোম্পানি নামটির ট্রেডমার্ক করিয়ে নেয়৷