বন্যা নিয়ে বিপাকে ভারত
মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতের উত্তরাঞ্চলে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্যা চলছে৷ অতিরিক্ত পানি একস্থান থেকে অন্যত্র সরার সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন৷
প্রকৃতির বিধ্বংসী রূপ
বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হিন্দুদের পবিত্র শহর কেদারনাথ৷ হিন্দু উৎসব উপলক্ষ্যে এখানে কয়েক লাখ পুণ্যার্থী হাজির হয়েছিলেন৷ অষ্টমম শতাব্দীতে তৈরি এই মন্দিরের চারপাশে বন্যার ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি দেখা যাচ্ছে ছবিতে৷
পর্যটন কেন্দ্র
হিন্দুদের পুণ্যস্থান এবং মন্দির দেখতে প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক হিমালয় অঞ্চলে যান৷ মে এবং জুন মাসে সেখানে পর্যটকদের ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি৷ গত জুনমাসে রেকর্ড তাপদাহের পর ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ধারণা করেছিল, জুন মাসে ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে৷
সবকিছু ধুয়েমুছে সাফ
বন্যার পানিতে ডুবে থাকা এই ট্রাকটির চারপাশে ময়লা আটকে গেছে৷ পানি আর কাদার তোড়ে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট এবং সেতু৷ কেদারনাথের আশেপাশের ৬০টি গ্রাম কার্যত মাটিতে মিশে গেছে৷ কিছু জায়গায় ভূমিধসের পরিমাণ তিন মিটার পর্যন্ত উঁচু৷
পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন
এই অঞ্চলের অধিবাসীরা বাৎসরিক মৌসুমি বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পরিচিত৷ তবে এ বছর ভারি বৃষ্টি প্রত্যাশিত সময়ের আগেই শুরু হয়৷ ফলে বিপাকে পড়েন কয়েক লাখ স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটক৷ বন্যায় নিহত এবং নিখোঁজের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে পরস্পরবিরোধী বিভিন্ন সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে৷ ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রীর হিসেবে, নিহতের সংখ্যা পাঁচ হাজারে পৌঁছাতে পারে৷
বিপজ্জনক উদ্ধার অভিযান
এই মানুষটিকে অলকনন্দা নদীর উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শুধু একটি দড়ির সহায়তায়৷ ভারত-তিব্বত সীমান্তে অবস্থানরত সেনারা দড়ি দিয়ে বিশেষ সেতু তৈরি করে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করছেন৷ ভারতের গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বন্যার কারণে কয়েক হাজার মানুষ এখনো বিভিন্ন স্থানে আটকে আছেন৷ তাদের কাছে খাবার বা পানীয় জল নেই৷
নিখোঁজদের সন্ধান
বন্যার কবল থেকে রক্ষা পেতে ছুটে চলা মানুষগুলো অনেক প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলেছেন৷ নিরাপদ আস্তানার সন্ধান পেয়েই তারা তাই খুঁজতে শুরু করেছেন হারানো প্রিয়জনদের৷
মহামারি প্রতিরোধের চেষ্টা
মহামারি প্রতিরোধের জন্য সেচ্ছাসেবকরা কাঠ সংগ্রহ করছেন৷ বন্যার পানিতে ভেসে থাকা মরদেহগুলো দ্রুত দাহের জন্য এই ব্যবস্থা৷
হতাশাজনক পূর্বাভাষ
দীর্ঘমেয়াদি বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে৷ বিশেষ করে সামরিক হেলিকপ্টারগুলো সময়মত উপদ্রুত অঞ্চলে নামতে পারছে না৷ ফলে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে বিলম্ব হচ্ছে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দ্রুত বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণও এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না৷