1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজফ্রান্স

ফ্রিডম কনভয়ে ফ্রান্সের নিষেধাজ্ঞা

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

ক্যানাডার কায়দায় ফ্রান্সেও ফ্রিডম কনভয় বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ফ্রান্স জানিয়েছে কোনোভাবেই কনভয় নিয়ে প্যারিসে ঢোকা যাবে না।

https://p.dw.com/p/46r3n
ফ্রিডম কনভয়
ছবি: Boutria Luc/MAXPPP/dpa/picture alliance

নিস থেকে বুধবারই ট্রাক এবং গাড়ির মিছিল নিয়ে প্যারিসের দিকে রওনা হয়েছিল ফ্রান্সের তথাকথিত 'ফ্রিডম কনভয়'। কিন্তু বৃহস্পতিবার প্রশাসন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কোনোভাবেই ওই কনভয় নিয়ে প্যারিসে বা তার আশপাশে ঢোকা যাবে না। বস্তুত ১১ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্যারিসে কোনোরকমবিক্ষোভ আন্দোলন করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের দেখাদেখি বেলজিয়ামও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রাসেলসেও বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ব্রাসেলসেও যাওয়ার কথা ছিল ফ্রিডম কনভয়ের।

ঘটনার সূত্রপাত ক্যানাডায়। কোভিড নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে একদল মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই ইউরোপ, অ্যামেরিকা এবং ক্যানাডায় আন্দোলন করছে। তাদের দাবি, টিকাকরণ বাধ্যতামূলক করা যাবে না। কোভিডের জন্য একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যাবে না। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা যাবে না। ক্যানাডায় এই প্রতিবাদীরা প্রথম ফ্রিডম কনভয় বার করে। বড় বড় ট্রাক নিয়ে তারা প্রথমে রাজধানী কার্যত অবরুদ্ধ করে দেয়। এরপর তারা অ্যামেরিকা এবং ক্যানাডার সীমান্তও কার্যত অচল করে দিয়েছে। প্রচুর ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। অ্যামেরিকা এবং ক্যানাডা দুই দেশই সীমান্ত পার করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম তৈরি করেছে। প্রতিবাদীদের দাবি সেই নিয়ম বাতিল করতে হবে।

ইউরোপেও দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ প্রতিরোধ চলছে। সম্প্রতি ক্যানাডার মতো ফ্রান্সেও ফ্রিডম কনভয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিবাদীরা। সবমিলিয়ে ছয়টি কনভয় প্যারিসের অভিমুখে রওনা হয়েছিল। কিন্তু তাদের মাঝপথেই আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। ক্যানাডার থেকে শিক্ষা নিয়ে তাদের রাজধানীতে ঢুকতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবাদীরা বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত নেয় কি না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)