ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে কাস্টমস যেসব অদ্ভূত জিনিস আটকে দেয়
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরের কাস্টমস বা শুল্ক কর্মকর্তারা ২০১৬ সালে তাদের প্রতিবেদনে যেসব জিনিসের উল্লেখ করেছেন, সেগুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু জিনিসের তালিকা দেয়া হলো৷
‘অবৈধ’ ছুরি
ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে প্রায় প্রতিদিনই অবৈধ ও নিষিদ্ধ জিনিসপত্র ধরা পড়ে৷ কোনো কোনো সময় জানাও যায় না এগুলো কোথায় যাচ্ছে বা কোথায় নেয়া হচ্ছে৷ কিন্তু যারা নিয়ে যায়, তারা জানে এটা অবৈধ৷ এই ধরণের ড্যাগার বা ছুরি বহন জার্মানির অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনকে লঙ্ঘণ করে৷
নকল স্নিকার
রিবোক, নাইকি, আডিডাসের মতো বড় বড় ব্র্যান্ডের স্নিকার বা জুতোর লেবেল নকল করে যেসব জুতো বানানো হয়, সেটাও এক ধরনের অপরাধ৷ আর তাই কাস্টমস অফিসাররা এগুলোও বিমানবন্দর থেকে জব্দ করেন৷ রিবোকের এই স্নিকারটি এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপন করেন তারা৷
নকল নখ কাটার যন্ত্র
অনেক সময় শুল্ক কর্মকর্তাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতে হয় প্রতিটি জিনিসের দিকে৷ গত বছর নখ কাটার এই যন্ত্রগুলো জব্দ করেছিলেন তারা, যেটা আসলে সলিঙ্গেনের তৈরি নয়৷ এটাও জালিয়াতির আর একটা দৃষ্টান্ত৷
আসল হাতির দাঁতের জিনিস
প্রতি বছর বিপুল পরিমাণে হাতির দাঁত বা দাঁতের তৈরি জিনিস পাচার হয়৷ ‘আইভরি’র বেচা-কেনা হুমকির মুখে থাকা এই প্রাণিদের বাঁচাতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ওয়াশিংটন কনভেশনের লঙ্ঘণ৷
ইলেকট্রনিক পাল্স লাইটার
এই ইলেকট্রনিক পাল্স সিগারেট লাইটারের বিদ্যুৎ অনেক উচ্চ মাত্রার, যা বিমানবন্দরের আইনের লঙ্ঘণ৷ এটিও জব্দ করেছিলেন কর্মকর্তারা৷
নকল লেগো
চীনে তৈরি নকল এই লেগোটিও বিমানবন্দরে জব্দ করা হয়েছিল, কারণ, আসল লেগো’র পুরোপুরি নকল এটি৷
পোস্ট করা অস্ত্রশস্ত্র
পাচার করার সময় অনেক সময় অস্ত্র ও গোলাবারুদও জার্মান কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ে৷