ফ্যাক্ট চেক: ট্রাম্পকে গুলি করা ব্যক্তিকে নিয়ে গুজব
১৬ জুলাই ২০২৪সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে তার একটির বিষয় সন্দেহভাজন হামলাকারীর পরিচয়৷ নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তার পরিচয় নিশ্চিত করে ফেলে৷ এফবিআই তার নাম বলে থমাস ম্যাথিউ সি (জার্মান আইন অনুযায়ী সন্দেহভাজনের পুরো নাম ডয়চে ভেলে প্রকাশ করছে না)৷ সন্দেহভাজন হামলাকারী ঘটনাস্থলেই নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে মারা যান৷
কর্তৃপক্ষ জানায়, ঐ ব্যক্তির সঙ্গে কোনো পরিচয়পত্র ছিল না৷ তারা ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন৷
তারপরও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পরিচয় সংক্রান্ত অসংখ্য পোস্ট দেখা যায়৷ ডয়চে ভেলে সেগুলোর কয়েকটি খতিয়ে দেখেছে৷
দাবি: হামলাকারীর নাম ‘মার্ক ভায়োলেটস'
ডিডাব্লিউ ফ্যাক্ট চেক: ভুল
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয় হামলাকারীর নাম ‘মার্ক ভায়োলেটস'৷ পোস্টগুলোতে মাথায় কালো টুপি ও চোখে সানগ্লাস পরা ওপরের ব্যক্তির ছবি প্রকাশ করা হয়৷ ছবিটি মূলত মার্কো ভিওলি নামের এক সাংবাদিকের৷ তিনি একজন ইটালিয়ান এবং মূলত ফুটবল নিয়ে প্রতিবেদন করেন৷
নিজের ইনস্টাগ্রামে মার্কো বিস্ময় প্রকাশ করেন এবং বলেন, ঘটনার সময় তিনি রোমে ছিলেন এবং ছবি প্রকাশের পর তার কাছে একের পর এক মেসেজ আসছিল৷ যেসব এক্স অ্যাকাউন্ট তার ছবি ছড়িয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি৷
দাবি: হামলাকারী দাবি করেন পুলিশ ভুল ব্যক্তিকে গুলি করেছে
ডিডাব্লিউ ফ্যাক্ট চেক: ভুল
সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে একটি ভিডিও ও একটি ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে৷ সেখানে দেখা যায়, লম্বা সোনালি চুলের এক যুবক নীল গেঞ্জি পরে দাবি করেন, তিনিই হামলাকারী এবং কর্তৃপক্ষ আসল হামলাকারীকে গুলি করেনি৷
পোস্টে বলা হয়, ‘‘আমার নাম থমাস ম্যাথিউ সি৷ আমি রিপাবলিকানদের ঘৃণা করি৷ আমি ট্রাম্পকে ঘৃণা করি৷ আপনারা ভুল ব্যক্তিকে ধরেছেন৷''
এটা আসলে একজন এক্স ব্যবহারকারীর প্যারোডি ভিডিও৷ পরে আরেকটি এক্স পোস্টে তিনি লেখেন, এটা আসলে একটা মজা ছিল৷ এরপর ব্যবহারকারী তার পোস্ট ভাইরাল যেন না হয় সে ব্যবস্থা নেন৷ এখন তার প্রোফাইলটি সবার জন্য উন্মুক্ত নয়৷
তবে অনেকেই পোস্টটি শেয়ার করে দাবি করতে থাকেন, এই হলো আসল হামলাকারী৷ এমনকি অনেক মূলধারার গণমাধ্যমও এটিকে খবর ভেবে প্রকাশ করেন৷
দাবি: হামলাকারীর নাম থমাস ম্যাথিউ সি নয়, ম্যাক্সওয়েল ওয়াই
ডিডাব্লিউ ফ্যাক্ট চেক: ভুল
এটা পরিষ্কার নয়, কেমন করে ঘটনার কিছুক্ষণ পর ম্যাক্সওয়েল ওয়াইয়ের নামটি সোশ্যাল মিডিয়ায় চাউর হয়৷ কিন্তু এটি খুব দ্রুত ছড়ায়৷ অনেক ইউজার লম্বা বাদামি চুলের একজন ব্যক্তির ছবি পোস্ট করে বলেন, ইনি হলেন সন্দেহভাজন হামলাকারী৷
ডয়চে ভেলে খতিয়ে দেখেছে, ছবিটি জনৈক ম্যাক্সওয়েল ওয়াইয়ের৷ কিন্তু পেনসিলভেনিয়ার ঘটনার সঙ্গে তার কোনো যোগসাজশ পাওয়া যায়নি৷ ২০১৬ সাল থেকে কিছু খবরে এই ব্যক্তির উল্লেখ পাওয়া যায়৷ তিনি ২০১৬ সালে পিটসবুর্গে ট্রাম্প সমর্থক ও প্রতিবাদকারীদের মধ্যকার একটি সংঘর্ষে যুক্ত ছিলেন৷ তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়৷ তার ছবি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়৷
আনোয়ার আশরাফ/জেডএ