1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভ নিয়ে দুশ্চিন্তায় হংকংয়ের ব্যবসায়ীরা

১১ জুন ২০১৯

চীন ও তাইওয়ানে অপরাধী প্রত্যর্পণ আইন পাস নিয়ে পুনরায় বড় ধরনের বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা৷ আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠনের পথ ধরে বিক্ষোভ নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরাও৷

https://p.dw.com/p/3KBRS
Hongkong Demonstration gegen das Zulassen von Auslieferungen nach China
ছবি: Reuters/T. Peter

প্রত্যর্পণ আইন পাস না করতে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ক্যারি ল্যামের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী৷ তারা বলছেন, সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে ব্যবসার ক্ষেত্রে বিদেশিদের আস্থা নষ্ট হবে৷

‘‘আইনি প্রক্রিয়ার একাগ্রতা ও স্বাধীনতাই হচ্ছে হংকংয়ের ভবিষ্যতের মূল কেন্দ্রবিন্দু,'' বলেছেন চীন-ভিত্তিক প্রিমাভেরা ক্যাপিটাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফ্রেড হু৷

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী ক্যারি ল্যামের ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে তাঁকে আইনটি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাক্টিভিস্ট ও উদ্যোক্তা ডেভিড ওয়েব৷

তিনি লিখেছেন, ''যদি আপনি জোর করে সামনে এগোন, তাহলে সংসদের মাধ্যমে আইনটি পাস করিয়ে নিতে পারবেন, সে ঠিক৷ তবে এটার রাজনৈতিক মূল্য হবে ভয়াবহ এবং তা হংকংয়ের আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে৷''

রোববার প্রায় ১০ লাখ লোকের বিক্ষোভের পরও প্রত্যর্পণ আইন পাসে শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করেছেন হংকংয়ের প্রধানমন্ত্রী ক্যারি ল্যাম৷ বুধবার এটি নিয়ে সংসদে দ্বিতীয় দফার বিতর্ক হবে৷

বিক্ষোভে উত্তাল হংকং

এই আইন পাস হলে চীন, তাইওয়ান ও ম্যাকাউ সরকারের আহ্বানে কোনো মামলায় অভিযুক্তকে ফেরত পাঠাতে পারবে হংকং৷ বর্তমান আইনে যে বিধান নেই৷

ব্যবসায়ী নেতাদের আগে আইনজীবী সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন এবং বিদেশি চেম্বার অব কমার্সগুলো আইনটি পাস করা নিয়ে সরকারকে সতর্ক করেছে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যানাডা৷

ধর্মঘটের ডাক দোকান মালিকদের

প্রত্যর্পণ আইন পাস না করার দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বুধবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন দোকান মালিকরা৷

এর আগে রোববার প্রায় ১০ লাখ মানুষ আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ ওইদিন রাতে বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙ্গে সংসদ ভবনে ঢুকে পড়তে চাইলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধেছিল৷

আইনের সমালোচকরা বলছেন, চীনের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন না হওয়ায় সেখানে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না৷ বিচারের ক্ষেত্রে তারা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় না রাখায় নির্যাতনের শিকার হওয়ার শঙ্কাও আছে৷

তবে হংকংয়ের নেত্রী ক্যারি ল্যাম বলছেন, আইনটি পাসের পেছনে চীনের কোনো হাত নেই৷ কেবল অপরাধীদের জন্যই প্রযোজ্য হবে এই আইন৷

এমবি/ (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)