প্রতিবাদী গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ-ভাংচুর
৩০ জুলাই ২০১০শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস কারখানায় ভাংচুর করে৷ অবরোধ করে সড়ক৷ এতে মহাখালী থেকে বিমানবন্দর, তেজগাঁ এবং গুলশান এলাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ শ্রমিকদের হটাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে৷ ছোঁড়ে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট৷ শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ব্যাপক ইঁটপাটকেল ছোঁড়ে৷ পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে প্রায় দুপুর পর্যন্ত৷এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন৷
পুলিশের সহায়তায় স্থানীয় সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান কামাল দুপুরের দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হন৷ সংসদ সদস্য দাবি করেছেন, কিছু লোকের উস্কানিতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে৷ দুপুরে শ্রমিকদের এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতা আব্দুর রশীদ দাবি করেন, সরকার আগের বেতনের চেয়ে শতকরা ৮০ ভাগ বেতন বাড়ানোর দাবি করলেও তা সত্য নয়৷
ভাংচুরের পর পুলিশ কমিশনার গার্মেন্টস শ্রমিকদের সহিংস আচরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান৷ আর বিজিএমইএ সভাপতি সালাম মুরশেদী একে নাশকতা বলে উল্লেখ করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান৷
মহাখালির ভাংচুরের পর দেশের সব তৈরি পোশাক শিল্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার তৈরি পোশাক শিল্পে ৭ স্তরের নতুন মজুরি কাঠামো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন শ্রমমন্ত্রী৷ তাতে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি করা হয় ৩ হাজার টাকা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক