প্রচণ্ড গরমের পর প্রবল বৃষ্টিতে ভাসলো দিল্লি
দিল্লিতে বেশ কিছুদিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছিল। সেই তাপপ্রবাহের পর প্রবল বৃষ্টি হলো। জলে ভাসলো রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকা।
কয়েক ঘণ্টায় ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি
সফদরজঙ্গ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দিবাগত রাত থেকে সকাল পর্যন্ত ১৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকখানি কমেছে ঠিকই, কিন্তু জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
বিমানবন্দরের ছাদ ভাঙলো
দিল্লি বিমানবন্দরের এক নম্বর টার্মিনালের ছাদের একটা অংশ প্রবল বৃষ্টির ফলে ভেঙে পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যেখানে যাত্রীরা গাড়ি থেকে নামেন বা গাড়িতে ওঠেন, সেখানেই ছাদের একাংশ পড়ে গেছে। এর ফলে একজন মারা গেছেন। ছয়জন আহত হয়েছেন। অনেকগুলি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক নম্বর টার্মিনালে বিমান ওঠানামা বেলা দুইটা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে।
বহু রাস্তায় জল
দিল্লির অনেক রাস্তায় জল জমে গেছে। মিন্টো রোড, লোদি এস্টেট, আইটিও, গল্ফ কোর্স রোড-সহ বহু রাস্তা জলের তলায় চলে গেছে। ফলে দিল্লি জুড়ে ব্যাপক যানজট দেখা দিয়েছে।
রাস্তায় গাড়ি কম
প্রবল বৃষ্টি ও যানজটের ফলে দিল্লির রাস্তায় শুক্রবার গাড়ি কম ছিল। যাতায়াতের জন্য মানুষ মেট্রো রেলে চেপেছেন। কিছু জায়গায় মেট্রো স্টেশনের সামনেও জল জমে গেছে। তবে সকালের পর থেকে বৃষ্টি থেমেছে।
তাপমাত্রা কমে গেছে
দিল্লির তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গেছে। শুক্রবার দুপুরে দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতদিন ধরে গরম হাওয়া বইছিল। তার জায়গায় শুক্রবার ঠান্ডা হাওয়া বইছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে। আদ্রতার পরিমাণ থাকবে ৭০ শতাংশের মতো।
বিদ্যুতের চাহিদা কমবে
কয়েকদিন আগে বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে দিল্লি। তখন তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি বা তার বেশি। সেসময় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল আট হাজার ৬৪৭ মেগাওয়াট। গোটা উত্তর ভারতে ছিল ৮৯ হাজার মেগাওয়াট। এই বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটাতে বিপাকে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থাগুলি। এখন আবহাওয়া ঠান্ডা হয়েছে। এসি, কুলারের ব্যবহার কমবে। ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও কমবে।
আরো বৃষ্টি
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, দিল্লিতে শুক্রবার আরো বৃষ্টি হতে পারে। আগামী দুই দিনও বৃষ্টি হতে পারে। দিল্লিতে বর্ষাও ঢুকে পড়লো বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
জলকষ্ট কমবে
বর্ষা শুরু হয়ে যাওয়ায় দিল্লিতে আর জলকষ্ট থাকবে না বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। দিন কয়েক আগেই দিল্লির এলজি-র কাছে গিয়ে আপ নেতা-মন্ত্রীরা বলেছিলেন, হিমাচলে, উত্তরাখণ্ডে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। এরপর হরিয়ানা চাইলেও আর যমুনার জল আটকে রাখতে পারবে না। দিল্লির মন্ত্রী আতিশি হরিয়ানা জল কম দেয়ার প্রতিবাদে অনশন করছিলেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।