পোলারয়েড ক্যামেরার সেকাল-একাল
৭০ বছর আগে, মার্কিন নাগরিক এডউইন ল্যান্ড এবং তাঁর পোলারয়েড কোম্পানি প্রথম বিশ্বে ইনস্ট্যান্ট, অর্থাৎ তৎক্ষণাৎ ছবি প্রিন্ট হয়– এমন ক্যামেরা বিক্রি করেছিল৷ সেই ক্যামেরা ফটোগ্রাফির সংজ্ঞা পুরোপুরি বদলে দিলো৷
ক্যামেরার পেছনের মানুষটি
১৯৪৮ সালের ২৬ শে নভেম্বর (ছবিতে বামদিকের ব্যক্তি) এডউইন ল্যান্ড প্রথম ইনস্ট্যান্ট ক্যামেরা উদ্ভাবন করেন, যার মডেল ছিল ৯৫-এ৷ সেই সময় জর্ডান মার্শ দোকানে এটি বিক্রি হয়েছিল মাত্র ৯০ ডলারে, যার বর্তমান মূল্য ৯০০ মার্কিন ডলার৷ নিজের মেয়ের কারণেই এই ক্যামেরা উদ্ভাবনে উৎসাহ পেয়েছিলেন ল্যান্ড৷ তাঁর মেয়ের অভিযোগ ছিল– ছবি তোলার সাথে সাথে কেন সেটা দেখা যায় না৷
ল্যান্ডের ক্যামেরার মডেল আজও দুর্লভ
ল্যান্ডের ক্যামেরার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো ‘সেল্ফ ডেভেলপিং’ ফিল্ম৷ ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত পোলারয়েডের অনেক মডেল তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু ১৯৮২ সালে ল্যান্ড অবসর নেয়ার পর তাঁর নামটা ক্যামেরা থেকে বাদ দিয়ে দেয় কোম্পানি৷ ৯৫-এ মডেলের পোলারয়েড ক্যামেরাটিতে ছবি প্রিন্ট হতে সময় লাগতো মাত্র ১ মিনিট৷
আলোকচিত্রে শিল্পের ধারা
আজকাল পোলারয়েড ক্যামেরা কেবল দুর্লভ সংগ্রহে রাখার মতো জিনিস নয়৷ ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে ‘পোলারয়েড কিউব’ উদ্ভাবিত হয়৷ এটি স্থিরচিত্রের পাশাপাশি, ভিডিও ধারণ করতে পারে এবং যে-কোনো চৌম্বকীয় এলাকায় আটকে থাকে৷
দুই কালের সেরা সম্মীলন
২০১৪ সালে বাজারে আসে পোলারয়েড সোশালমেটিক৷ এটিতে পুরোনো ইনস্ট্যান্ট ক্যামেরার নস্ট্যালজিক ভাব যেমন রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ছবি শেয়ার করার ক্ষমতা৷
ক্রেডিট কার্ড আকারের ছবি
২০১৫ সালে ফুজি ফিল্ম কর্পোরেশন বাজারে আনে পোলারয়েডের মতো ইনসট্যাক্স মিনি-৭০৷ এর বৈশিষ্ট্য হলো, একই সঙ্গে প্রধান বস্তু এবং ব্যাকগ্রাউন্ডের সাধারণ উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তোলা৷
সাধ্যের বাইরে গিয়ে কাজ করা
২০১৭ সালে বাজারে ছাড়া হয় ওয়ানস্টেপ-২৷ এটির বৈশিষ্ট্য হলো, ক্লাসিক নকশার সঙ্গে সমকালীন ধরন এবং এটি পোলারয়েডের আসল সংস্করণ ওয়ানস্টেপ থেকে অনুপ্রাণিত৷ নতুন সংস্করণে যুক্ত হয়েছে উচ্চ মানের লেন্স এবং শক্তিশালী ফ্ল্যাশ৷