1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিপাকিস্তান

পাকিস্তানে ভোটের মাঠে ইমরান নেই, ব্যাটও নেই

১৫ জানুয়ারি ২০২৪

পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পিটিআই ‘ক্রিকেট ব্যাট' প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে না৷ দেশটির সুপ্রিম কোর্ট শনিবার এই রায় দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4bFRx
সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ের ফলে নির্বাচনে পিটিআই-এর সব প্রার্থীকে এখন আলাদা আলাদা প্রতীক ব্যবহার করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এমন রায়ের ফলে নির্বাচনে পিটিআই-এর সব প্রার্থীকে এখন আলাদা আলাদা প্রতীক ব্যবহার করতে হবে।ছবি: Athar Hussain/REUTERS

যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান এএফপিকে বলেন, পাকিস্তানে স্বাক্ষরতার হার কম৷ তাই ব্যালটে ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক না থাকলে অনেক ভোটার সমস্যায় পড়বেন৷ 

বিশ্বব্যাংকের হিসেবে পাকিস্তানে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্বাক্ষরতার হার ৫৮ শতাংশ৷

নির্বাচনি আইন মেনে দলের মধ্যে নির্বাচন না করার অভিযোগে দেশটির নির্বাচন কমিশন গতমাসে ক্রিকেট ব্যাট প্রতীক ব্যবহারে পিটিআই-এর উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়৷ সুপ্রিম কোর্ট শনিবার এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে৷

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি কাজী ফায়েজ ইসা বলেন, ২০২১ সালে পিটিআই যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদেরকে নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছিল নির্বাচন কমিশন৷ ‘‘সে কারণে বলা যাবে না যে, নির্বাচন কমিশন পিটিআই-এর বিরুদ্ধে লেগেছে৷''

পিটিআই-এর মুখপাত্র জুলফি বুখারি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ‘গণতন্ত্রের জন্য দুঃখজনক দিন' বলে আখ্যায়িত করেছন৷

পিটিআই-এর সব প্রার্থীকে এখন আলাদা প্রতীক বেছে নিতে হবে৷

সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর ২০২২ সালের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ এরপর থেকে তার বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে৷

ইমরান খানের দলের অভিযোগ, সামরিক বাহিনী তাদের নির্বাচনের বাইরে রাখার চেষ্টা করছে৷ তবে সেনাবাহিনী এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে৷

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, পিটিআই-এর বিরুদ্ধে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে৷

এদিকে সামরিক বাহিনীর সমর্থন পাওয়ায় তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে আছেন৷

স্বেচ্ছা নির্বাসন থেকে পাকিস্তানে ফেরার পর শরিফ তার বিরুদ্ধে থাকা বিভিন্ন দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন৷ সামরিক বাহিনী যে তাকে সমর্থন করছে, এটি তার লক্ষণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন বলেছ, নির্বাচনের আগেই ‘প্রাক-নির্বাচন কারচুপি' দেখা যাচ্ছে৷ ফলে ইমরান খান ও তার দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে ছিটকে পড়ছে৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)