1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে ইমরানের পদত্যাগ দাবিতে ‘স্বাধীনতার মিছিল'

১ নভেম্বর ২০১৯

রোববার থেকে বিক্ষোভ চলছে পাকিস্তানে৷ শুক্রবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল থেকেও উঠেছে একই দাবি— প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পদত্যাগ করতে হবে৷

https://p.dw.com/p/3SLUQ
Pakistan | Demonstration der Opposition gegen Imran Khan
ছবি: Getty Images/AFP/A. Qureshi

২০১৮ সালের আগস্টে নির্বাচনে জিতে সরকার গঠন করে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের তেহরিক-ই ইনসাফ দল৷ বিরোধী দলগুলো নির্বাচন নিয়ে তখন থেকেই প্রশ্ন তুলে আসছে৷ তারা মনে করে, সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছেন ইমরান৷

দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করবেন, ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তুলবেন— মূলত এই দুটো অঙ্গীকার করেই ভোট চেয়েছিলেন পাকিস্তানকে ১৯৯২-এর বিশ্বকাপ জেতানো সাবেক অলরাউন্ডার৷ কিন্তু এক বছরেরও বেশি সময়ে কোনো ক্ষেত্রেই পরিবর্তনের তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি৷ তাই সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত পদত্যাগের দাবিতে বিরোধী দলগুলো বিক্ষোভ শুরু করে৷ বিক্ষোভের নেতৃত্বে রয়েছেন পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ধর্মভিত্তিক দল জমিয়াত উলেমায়ে ইসলামের নেতা মওলানা ফজলুর রহমান৷ প্রধান দুই বিরোধী দল নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) আর আসিফ আলী জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ অন্যান্য দলেরও সমর্থন রয়েছে এই বিক্ষোভে৷

বিরোধীরা মিছিলের নাম দিয়েছেন, আজাদি মার্চ', অর্থাৎ ‘স্বাধীনতার মিছিল'৷ গত রবিবার পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর করাচি থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন শহর ঘুরে বৃহস্পতিবার মিছিলটি রাজধানী ইসলামাবাদে এসে পৌঁছায়৷ শুক্রবার মিছিলে অংশ নেয়া তরুণ হাবিবুর রহমান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, মানুষ এখন তিন বেলার আহার জোটাতেও হিমশিম খাচ্ছে৷ তিনি আরো বলেন, ‘‘দেশে অঘোষিত সামরিক শাসন চলছে৷'' ইমরান খানের সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘তিনি নতুন আসছেন আর তাকে আন্তরিক মনে হয়েছিল বলে আমার পরিবার তাকে ভোট দিয়েছিল৷কিন্তু তিনি আমাদের হতাশ করেছেন৷''

তার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ চললেও ইমরান জানিয়েছেন, তিনি পদত্যাগ করবেন না৷ এর আগে সেনাবাহিনীর বিশেষ সহায়তা নিয়ে কারচুপি করে নির্বাচিত হওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন তিনি৷

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য