1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানকে কেন অবিশ্বাস করছে আফগানিস্তান?

১১ জুলাই ২০২১

তালেবান গোষ্ঠীদের প্রতি পাকিস্তানের প্রচ্ছন্ন সমর্থনকে সন্দেহের চোখে দেখছে আফগান সংবাদমাধ্যম৷ বর্তমান পরিস্থিতিতে কোথায় দাঁড়িয়ে এই সমীকরণ?

https://p.dw.com/p/3wKi8
২০২০ সালের নভেম্বরে আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কাবুল সফরে আসেন৷ ছবি: ARG

আফগানিস্তানের বর্তমান অস্থিরতার জন্য আফগান সংবাদমাধ্যম ও রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের একাংশ দায়ী করছে পাকিস্তানকে৷ তাদের মত, পাকিস্তানের প্রচ্ছন্ন তালেবান সমর্থন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আবহে অস্থিরতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে৷

অবশ্য এই অভিযোগ নতুন নয়৷ আফগান সরকারের পক্ষেও শোনা গেছে এই অভিযোগ যে পাকিস্তান তালেবান গোষ্ঠীদের আশ্রয় ও সামরিক সমর্থন দিয়ে এসেছে৷ দুই দশক দীর্ঘ মার্কিন সেনা অবস্থানের শেষে নতুন করে আলোচনায় এই বিষয়টি৷

এক আফগান রাজনীতিক আবদুল সাত্তার হুসেইনি সম্প্রতি একটি টিভি শোতে বলেন, ‘‘আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে আমরা পাকিস্তানের হাতে আক্রান্ত৷ আমরা শুধু তালেবানের বিরুদ্ধে লড়ছি না, আমরা পাকিস্তানের সাথে এই মেকি যুদ্ধেও জড়িত৷ তালেবানদের আফগানিস্তানের জন্য কোনো পরিকল্পনা নেই, আর আমরাও পাকিস্তানের উদ্দেশ্য মেনে নিতে নারাজ৷’’

অস্বস্তির সম্পর্ক

পাকিস্তান এই সব অভিযোগকে সাধারণত উড়িয়ে দিয়ে থাকে, যদিও তা আফগানরা সহজভাবে নেয় না৷

গত মাসে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি একটি আফগান টিভি শোতে উপস্থিত হন এই অস্বস্তির সম্পর্কে কিছুটা স্বস্তি আনতে৷ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক সেখানে প্রশ্ন করেন পাকিস্তানে কিছু তালেবান নেতাদের অবস্তান করা প্রসঙ্গে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান যে তিনি এবিষয়ে অবগত নন৷

মন্ত্রী বারবার উপস্থাপককে বোঝাতে চেষ্টা করেন যে এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন, কিন্তু উপস্থাপকের সব প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি তিনি৷

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের অনুষ্ঠানে প্রায়ই পাকিস্তানের একটি নেতিবাচক রূপ তুলে ধরা হয়৷

কাবুলের সাংবাদিক শারিফ হাসানিয়ার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আফগান-পাক সম্পর্ক চার দশকেরও বেশি সময় ধরে এমন থেকেছে৷ বেশিরভাগ আফগানরাই পাকিস্তানকে নেতিবাচকভাবে দেখে কারণ নব্বইয়ের দশকে ইসলামাবাদ তালেবান ও মুজাহিদিনকে সমর্থন করেছিল৷’’

আফগানিস্তানে লড়াই কি তবে শেষ?

কিন্তু সাবেক প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র নাজিবুল্লাহ আজাদ মনে করেন যে আফগান ধারণা সত্যের ওপর ভিত্তি করেই গড়া৷

তিনি বলেন, ‘‘পাক কর্তৃপক্ষ আফগান বিশেষজ্ঞদের কিছু অভিযোগ স্বীকার করেছে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশাররফ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তারা তালেবানকে সমর্থন করেন৷ ২০১৫ সালে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যিনি সেই সময় বিরোধী দলে ছিলেন, বলেন যে তার হাসপাতালে এক আহত তালেবান যোদ্ধার চিকিৎসা হয়েছিল৷ সম্প্রতি পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রাশিদ বলেন যে তালেবান সদস্যদের পরিবার পাকিস্তানে রয়েছে৷’’

উন্নত সম্পর্কের সম্ভাবনা

যেহেতু এই দুই দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যার প্রভাব দুই দেশের মধ্যে বড় ভূমিকা রাখে, সেক্ষেত্রে মার্কিন সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের ফলাফলও এখানে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে৷

হাসানিয়ার এবিষয়ে বলেন, ‘‘সুশীল সমাজের সদস্যরা ও সাংবাদিকরা যতই চেষ্টা করুন না কেন দুই দেশের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে, এই কাজ আসলে সরকারের৷ গত কয়েক মাসে উচ্চপদস্থ আফগান কর্তারা পাকিস্তানে গিয়েছেন, কিন্তু মাঠপর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুই বদলায়নি৷ যদি এই অবস্থা বদলাতে হয় তাহলে পাকিস্তানকে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের মদত দেওয়া বন্ধ করতে হবে৷’’

এদিকে পাক কর্মকর্তাদের মত, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতি করতে হলে কাবুলকে এই ধরনের অভিযোগ আনা বন্ধ করতে হবে৷

শামিল শামস, মাসুদ সাইফুল্লাহ/এসএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান