1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাঁচ মাসেই ফিকে ‘‌মোদী ম্যাজিক'‌?‌

রাজীব চক্রবর্তী নতুন দিল্লি
৩০ অক্টোবর ২০১৯

গত মে মাসে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দ্বিতীয়বার দিল্লির মসনদে বসেছেন নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর জনপ্রিয়তার কাছে ম্লান লেগেছে দেশের বিরোধী শিবিরকে৷ কিন্তু, মাত্র কয়েক মাস পর দুই রাজ্যের নির্বাচনে ছবিটা অন্য রকম৷

https://p.dw.com/p/3SBQ2
India National Congress leader Priyanka Gandhi Vadra
ফাইল ফটোছবি: DW/R. Sharma

হরিয়ানায় জোর ধাক্কা৷ মহারাষ্ট্রে কোনওমতে পাশ৷ দুটি রাজ্যে সরকার গড়লেও উদ্ধব ঠাকরের বশ্যতা স্বীকার করা ছাড়া অন্য পথ নেই ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে৷ সদ্য সমাপ্ত দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ডাহা ফেল করেছে প্রাক্‌নির্বাচনী এবং নির্বাচন পরবর্তী যাবতীয় সংস্থার সমীক্ষা৷ আসন সংখ্যা এবং ভোটের শতকরা হার, দুই ক্ষেত্রেই বিজেপি'র গ্রাফ নিম্নমুখী৷ হরিয়ানায় প্রাপ্ত ভোটের হারে ২২ শতাংশ কমেছে বিজেপির৷ লোকসভায় রজ্যে ৫৮ শতাংশ ভোট পেয়েছিল তারা৷ স্পষ্টতই দুটি রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে জনতা৷ উধাও ‘‌মোদী ম্যাজিক'‌!‌রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, খসছে পদ্মের পাপড়ি!‌‌

এবার নির্বাচনে কাজ করেনি জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপ, পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় সেনার এয়ার স্ট্রাইক এবং উগ্র জাতীয়তাবাদের বহু পুরোনো তত্ত্ব৷ উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই দুই রাজ্যের নির্বাচনে মোদীর ওপর খুব একটা ভরসা না করে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত ছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা৷ এর পরেও যেখানে যেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রচারে গিয়েছেন, সেখানেও ভালো ফল করেনি বিজেপি৷

ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ বিশ্বনাথ চক্রবর্তী জানালেন, ‘‌‘সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক শ্লথগতির আঁচ পাচ্ছে৷ এই নির্বাচনে তৃণমূল স্তরের বাস্তবতা ফুটে উঠেছে৷ হাউডি মোদী-‌র পরে এমন নির্বাচনী ফল বিজেপি নেতাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেবে৷ তবে, বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করে, আরও বেশি মনোনিবেশ করলে এই নির্বাচনর ফল অন্যরকম হতে পারত৷ ‌যা হয়েছে সেটা বিজেপি‌র জন্য ধাক্কা৷ কিন্তু, ধাক্কা বিপর্যয়ে পরিণত হতে পারত৷ হয়নি কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে৷ তবে, প্রমাণ হয়েছে মোদীকে সামনে রেখে লড়াই এবং মোদীর নাম নিয়ে লড়াইয়ের ফল দু-‌রকম৷'‌'‌

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

আসলে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র-‌সহ গোটা বিভিন্ন রাজ্যের উপনির্বাচনে বিজেপিতে গ্রহনযোগ্য আঞ্চলিক নেতার অভাব স্পষ্ট হয়েছে৷ উল্টোদিকে, কোনও একটি মুখের পরিবর্তে আঞ্চলিক নেতা ও সংগঠনের ওপর ভরসা রেখে কিছুটা হলেও সাফল্য পেয়েছে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধীরা৷ গতবারের তুলনায় হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র দুটি রাজ্যেই তুলনামূলক ভালো ফল করেছে কংগ্রেস৷ তাদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে৷ যার ফলে বিজেপি‌র ‘‌কংগ্রেস শূন্য ভারত'‌‌গড়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ের অবকাশ রয়েছে৷

হরিয়ানায় ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি'‌র ‘‌অবকি বার ৭৫ পার'‌শ্লোগান৷ মহারাষ্ট্রে মোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে গতবার বিজেপি'র ঝুলিতে ছিল ১২২টি আসন৷ এবার ১০৫টি আসন পেয়েছে তারা৷ শিবসেনা ৫৬টি৷ জোটের আশা ছিল ২০০ পার হওয়ার৷ হয়নি৷ স্বভাবতই ধাক্কা৷

ওদিকে, গোটা দেশেই দলত্যাগী নেতাদের কার্যত প্রত্যাখান করেছে জনতা৷ দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বানের পাশাপাশি ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত পুদুচেরি মিলিয়ে মোট ৫১টি বিধানসভা ও দু'টি লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচ সম্পন্ন হয়েছে৷ সেখানেও উধাও ‘‌মোদি ম্যাজিক'‌৷ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খাস তালুক গুজরাটে হতাশ হতে হয়েছে বিজেপি'‌কে৷ সেখানে ৬টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন ছিল৷ ৪টে আসনে হেরেছে বিজেপি৷ পরাজিত হয়েছেন স্থানীয় ভাষায় ‘‌দলবদলু'‌অল্পেশ ঠাকোর৷ অল্পেশের সঙ্গেই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি'‌র হাত ধরেছিলেন বাভাড কেন্দ্রের ধবলসিং জালা৷ তিনিও হেরেছেন৷  হতাশা এনডিএ শরিক নীতীশ কুমারের বিহারেও৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য