পর্দার অন্তরালের আলফ্রেড হিচকক
‘সাইকো’, ‘ দ্য বার্ডস’, ‘ভার্টিগো’-র মতো থ্রিলার পরিচালনা করলেও কাজের সময় হাসিখুশি থাকতেন আলফ্রেড হিচকক৷ জার্মান প্রকাশনা সংস্থা টাশেন-এর একটি বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে ‘মাস্টার অব সাসপেন্স’খ্যাত এই কিংবদন্তীকে৷
‘আত্মপ্রচারের’ মাস্টার
১৮৯৯ সালের ১৩ আগস্ট লন্ডনের লেটনস্টোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন আলফ্রেড হিচকক৷ মৃত্যুর প্রায় ৪০ বছর পরেও চলচ্চিত্রের প্রবাদপুরুষ হয়ে আছেন তিনি৷ অসংখ্য সিনেমা পরিচালনা করেছেন, নিজের প্রচারণার কৌশলও জানতেন হিচকক৷ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের সময় তিনি তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে পোজ দিয়ে আনন্দ পেতেন৷ ছবিতে ১৯৫০ সালে মার্লিন ডিয়েট্রিচের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে তাঁকে৷
আজও অমলিন তাঁর ক্লাসিক
হিচকককে নিয়ে নতুন বইগুলোর আজও কাটতি রয়েছে, যা তার ব্যাপক জনপ্রিয়তাকে প্রমাণ করে৷ প্রকাশনা সংস্থা টাশেনের ‘আলফ্রেড হিচকক: দ্য কমপ্লিট ফিল্মস’-ও খুব ভালো চলছে৷ এ বইয়ে হিচককের ৫৩টি ছবি নিয়ে আলোচনা রয়েছে৷‘সাইকো’ সম্পর্কে লিখেছেন চলচ্চিত্রের ইতিহাসবিদ পল ডুকান৷
সেটে এক তরুণ
‘বার্ডস’ এবং ‘সাইকো’ চলচ্চিত্রে পরিচালকের থেকেও বেশিকিছু ছিলেন হিচকক৷ নির্বাক চলচ্চিত্রের যুগে সক্রিয় ছিলেন তিনি৷ তার প্রথম দিকের কিছু কাজ এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না৷ ১৯২৬ সালে মুক্তি পাওয়া জার্মান ব্রিটিশ প্রযোজনার ছবি ‘দ্য মাউন্টেন ইগল’-এরও এখন কোনো হদিস নেই৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে তরুণ হিচকককে, পাশে পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রী হওয়া আলমা রেভিল৷
মাস্টার হয়ে ওঠা
১৯৩০-এর দশকে তাঁর প্রথম মাস্টারপিসগুলো তৈরি করেন আলফ্রেড হিচকক৷ ‘দ্য ৩৯ স্টেপস’-ও সেই সময়েই তৈরি৷
হিচকক ও নারী
হিচকক তাঁর ছবিতে প্রায়ই স্বর্ণকেশী অভিনেত্রীদের নিতেন৷ শুরু থেকেই তিনি কোনো চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সঠিক তারকাকে বাছাইয়ে দক্ষ ছিলেন৷ গ্রেস কেলি (ছবিতে হিচককের সঙ্গে) ছিলেন তাঁর অন্যতম পছন্দের অভিনেত্রী৷
নিরুদ্বেগ পরিচালক
চিত্রগ্রহণের সময় তিনি সব সময় বেশ প্রফুল্ল থাকতেন৷ ছবিতে তাঁকে কিম নোভাকের সঙ্গে ‘ভার্টিগো’র সেটে দেখা যাচ্ছে৷
রসবোধ
কাজের সময় হাসিখুশি থাকতেন হচকিক৷ তাঁকে নিয়ে লেখা বইটিতে দেখানো হয়েছে তিনি কখনোই বয়সের সাথে রসবোধকে হারিয়ে ফেলেননি৷ ছবিতে হিচকককে অভিনেতা ব্রুস ডার্নের সঙ্গে তার শেষ সিনেমা ‘ফ্যামিলি প্লট’-এর সেটে মজা করতে দেখা যাচ্ছে৷