পর্তুগালকে আর্থিক সহায়তা প্রসঙ্গে বৈঠক চলছে হাঙ্গেরিতে
৮ এপ্রিল ২০১১পর্তুগালের আর্থিক সংকটের সূচনা ঘটে বেশ ক'মাস আগে৷ এই সংকট কাটানোর জন্য সে দেশের সরকার নানামূখী কৃচ্ছ্রতা কর্মসূচি যখন গ্রহণের কথা ঘোষণা করলো, তখনি শুরু হয় আন্দোলন৷ আর এই আন্দোলনের চাকুতে এতোটাই ধার ছিল যে নিয়মিত সরকার আর চালাতে পারেনি দেশটি৷ দায়িত্ব চলে গেছে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে৷ অবশ্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কিছুটা সময় দেশ চালিয়ে যাচ্ছেন আগের সেই নেতা হোসে সক্রেটেস৷ তিনিই গত দুই দিন আগে এক ভাষণে বলেন, ‘‘না আর কোন উপায় নেই৷ দেশকে বাঁচাতে হলে প্রয়োজন প্রতিবেশী দেশগুলোর সহায়তা৷'' মানে অর্থ চাইছেন তিনি, অবশ্যই তা ধার হিসাবে৷ অর্থনীতির ভাষায় একে বলা হয় ‘বেলআউট'৷ তিনি সেই বেলআউট'এর বল গতরাতে ছুঁড়ে দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ'এর দিকে৷
আর তাই, হাঙ্গেরির গোডেলোতে তড়িঘড়ি বৈঠক ইউরোপীয় দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীদের৷ এক টাকা দুই টাকার গল্প তো নয়, হাজার কোটি ইউরোর সাহায্য দিতে হবে পর্তুগালকে৷ ফলে তাঁরা আলোচনা করছেন৷ অবশ্য এখনো এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি৷ দুই দিনের বৈঠকের শেষের দিন, মানে আগামীকাল শনিবার জানা যাবে কি বলেন তাঁরা৷
সঠিক অঙ্কটা এখনো প্রকাশ করা না হলেও, ইউরো জোনের অন্যতম দেশ বেলজিয়ামের ধারণা সমস্যা উতরে নিতে পর্তুগালের প্রয়োজন হবে অন্তত ৮০ থেকে ৯০ বিলিয়ন ইউরো৷ তবে কেবল অর্থ সহায়তা নিয়েই বসে থাকলে চলবে না, পর্তুগালকে অযাচিত অনেক খরচ কমাতে হবে বলে মনে করছেন গোডলো বৈঠকের নেতারা৷
পর্তুগালের আনুষ্ঠানিক আর্থিক সহায়তা চাইবার বিষয়টি প্রকাশ করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থ বিষয়ক কমিশনার ওলি রেন৷ তিনি বলেন, ‘‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে পর্তুগালের এই উদ্যোগকে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই৷''
কিন্তু তিনি স্বাগত জানালেও অন্যরা কী স্বাগত জানাবেন ? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া এখনই সম্ভব নয় ! এর জন্য কিছু সময় অপেক্ষা প্রয়োজন৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ