পরের জেমস বন্ড কে হবেন?
‘স্পেক্টর’ কি ড্যানিয়েল ক্রেগ-এর শেষ বন্ড ছবি হতে চলেছে? তাহলে তো একটা বিকল্পের কথা ভাবা দরকার...
লালচুলো জেমস বন্ড? ড্যামিয়ান লিউয়িস
যখন গুজব ছড়াতে শুরু করল যে, ড্যানিয়েল ক্রেগ তাঁর চার নম্বর বন্ড ছবির পর বিদায় নিতে চান, সাথে-সাথে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে যায়, পরের শূন্য-শূন্য-সাত কে হবেন৷ এমনকি বেটিং চলেছে! ‘হোমল্যান্ড’ সিরিয়ালের অভিনেতা ড্যামিয়ান লিউয়িস আপাতত বুকমেকারদের ফেবারিট৷ লাল চুলে আপত্তি নেই, কেননা জেমস বন্ড তো আসলে স্কটিশ৷
অব্যর্থ লক্ষ্য: ডেভিড বেকহ্যাম
সেক্সি ফুটবল স্টার, সাবেক হলেই বা কী? বেকহ্যাম নিজে না-না করা সত্ত্বেও গুজব ছড়াচ্ছে৷ হাজার হোক, বেকহ্যাম দেখতে শুনতে খারাপ নন, যেমন স্যুট, তেমনই আন্ডারওয়্যার পরে ভালোই দেখায়৷ আর শুটিংও দারুণ, মানে ফুটবল পায়ে পেলে গোলের দিকে৷ শুধু অ্যাক্টিং-টা শিখে নিলেই চলবে৷
লাইসেন্স টু সিং: রবি উইলিয়ামস
ব্রিটেনের পপ স্টার রবি উইলিয়ামস বছর পনেরো আগেই তাঁর ‘মিলেন্নিয়াম’ গানটির ভিডিও-য় জেমস বন্ড-এর অনুকরণ করেছিলেন টাক্সেডো পরে, নাইট ড্রেস পরিহিতা সুন্দরী পরিবেষ্টিত অবস্থায় গান গেয়ে৷ আজ সেই রবি অনেক বেশি ম্যাচিওর, রগের চুলে পাক ধরেছে৷ জেমস বন্ড হিসেবে মানাবে খারাপ নয়৷ একটা মিউজিক্যাল জেমস বন্ড হলেই বা আপত্তি কি?
স্লিক স্টাইল: ইদ্রিস এলবা
‘দ্য ওয়্যার’ টিভি সিরিজের ড্রাগ লর্ড স্ট্রিঙ্গার বেল অথবা ‘লুথার’ সিরিজের ডিটেকটিভ জন লুথার-কে মনে আছে তো? গোল্ডেন গ্লোব জিতেছেন৷ রিভলভার চালাতে জানেন৷ খুবই পুরুষালি চেহারা৷ মার্কিন মুলুকে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হয়ে গেল, আর ব্রিটেনে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ জেমস বন্ড হবে না?
বহুমুখী প্রতিভা: মিশায়েল ফাসবেন্ডার
জন্ম জার্মানির হাইডেলব্যার্গে৷ বাবা জার্মান, মা আইরিশ৷ মঞ্চে ও ফিল্মে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেমন অ্যাকশন হিরো ম্যাগনেটো, কিংবা শেক্সপিয়ারের ম্যাকবেথ, বা অ্যাপল-প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস-এর ভূমিকায়৷
মহিলা জেমস বন্ড? হ্যালি বেরি
নারীবাদী দুনিয়ায় মহিলা জেমস বন্ড হবার সময় এসেছে বৈকি৷ ‘ডাই অ্যানাদার ডে’ ছবিতে তিনি অতীতের স্বনামধন্যা বন্ড গার্ল উর্সুলা অ্যান্ড্রেস-এর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অনুরূপ একটি বিকিনি পরিহিত দৃশ্যে৷অ্যাকশনের দৃশ্যে তো তাঁকে নিঃসন্দেহে অ্যান্ড্রেস-এর চেয়ে বেশি নিপুণ বলা চলে৷
হিরো কিংবা ভিলেন: ক্রিস্টফ ওয়ালৎস
‘স্পেক্টর’ ছবিতে ভিলেনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এই অস্কার-বিজয়ী অভিনেতা৷ নয়ত তাঁর বন্ড হবার সব যোগ্যতাই ছিল: চেহারা, ক্যারিসমা, অভিজ্ঞতা৷ দেখতে-শুনতে ভালো, বন্দুক চালাতে জানেন, অস্ট্রিয়ার আর কোনো অভিনেতা এত ভালো ব্রিটিশ ইংরেজি বলতে পারেন কিনা সন্দেহ৷
বাহুবল: টম হার্ডি
বুকমেকারদের আরেক ফেবারিট৷ ‘ব্ল্যাক হক ডাউন’ থেকে শুরু করে ‘ম্যাড ম্যাক্স’, কিংবা ঠান্ডা লড়াই-এর আমলের গুপ্তচরবৃত্তির কাহিনি ‘টিঙ্কার-টেইলর, সোলজার, স্পাই’-এর মতো অ্যাকশন ছবিতে অভিনয় করেছেন৷ ‘জিকিউ’ পত্রিকা তাঁকে ২০১৫ সালের সেরা সাজগোজ করা ব্রিটিশ পুরুষদের তালিকায় রাখে৷ এমটিভি-র সবচেয়ে যৌন আবেদনময় পুরুষদের তালিকাতেও তাঁকে রাখা হয়েছে৷
অবিকল্পনীয়: ড্যানিয়েল ক্রেগ
শেষমেষ বলতে হবে, ড্যানিয়েল ক্রেগ থাকলেই ভালো৷ তাঁর গভীর ইস্পাত-নীল চোখ তাঁকে রহস্যময় কিছু একটা এনে দিয়েছে, যাকে সাধারণভাবে সৌন্দর্য্য বলা চলে না৷ তিনি বন্ড-এর চরিত্রকে একাধারে নির্বিকার, অন্যদিকে বেদনার্ত করে তুলেছেন৷ সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন যে, তাঁর আরো একটা বন্ড ছবি করার চুক্তি আছে এবং তিনি সেই ছবিতে অভিনয়ও করবেন৷ কাজেই আশা আছে বৈকি...৷