পরিবেশের নিরাপত্তা সর্বাগ্রে প্রয়োজন : গুটেনবেয়ার্গ
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০নিরাপত্তা সম্মেলনেও উঠে এল প্রধান বিষয় হয়ে আদতে সেই পরিবেশ৷ কারণ সম্মেলনের আহ্বায়ক দেশ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল থিওডর সু গুটেনবেয়ার্গ তাঁর প্রারম্ভিক ও স্বাগতিক ভাষণে বললেন এরকমই কথা৷ আর সেই বক্তব্যের সমর্থনে শোনা গেল সম্মেলনে আগত অন্যান্য প্রতিনিধিদের সম্মতি৷
পরিবেশের ক্ষতিই তো শুধু নয়, আগামী বিশ্বের অন্যতম প্রধান অনিশ্চিত নিরাপত্তা হতে চলেছে জ্বালানীর সংকট৷ যে পরিমাণে খরচ হয়ে চলেছে জ্বালানীর প্রথাগত ভাঁড়ার, তাতে আর কয়েক বছরের মধ্যে যদি বিকল্প এবং সস্তা জ্বালানীর সন্ধান না মেলে তাহলেই সর্বাধিক ব্যাহত হবে মানবজাতির নিরাপত্তা৷ আরও একটি ইস্যু উঠে এসেছে মিউনিখে চলতি নিরাপত্তা সম্মেলনের প্রথমদিন৷ আর তা হল বিশ্বের জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান হার৷ জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুটেনবেয়ার্গ তাঁর ভাষণে এই তিনটি সমস্যার দিকে আলোকপাত করলে সম্মেলনে যোগদানকারী অন্য সব দেশের প্রতিনিধিরাই তাঁকে সমর্থন জানান৷
বিশ্বের সামনে এই মুহূর্তে প্রধান হয়ে দেখা দেওয়া সমস্যাগুলির সমাধানে সকলের উচিত একজোটে মোকাবিলার দিকনির্দেশ করা৷ বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াং জিয়েচি৷ এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে জিয়েচি-র মন্তব্য, বিশ্বের সব দেশের মূল লক্ষ্যগুলি এক সমতায় চলে আসছে ক্রমশ৷ জিয়েচির ভাষণের অন্যদিকটিতে অবশ্যই উঠে এসেছে ইরান আর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আন্তর্জাতিক মহলের সম্পর্ক উন্নয়নের দিকটি৷
ইরানের তরফে এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানুশের মোত্তাকি৷ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে লন্ডনে আয়োজিত আফগানিস্তান বিষয়ক সম্মেলনের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে ইরান৷ কিন্তু মিউনিখের এই নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে একটি কারণ মোত্তাকি শুক্রবারেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন৷ বলেছেন, এই মুহূর্তে ইরান যে পরিমাণ নিম্নমানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ করেছে সেগুলি এবার বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবহৃত হতে পারে৷ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাতে ইরানের যে উচ্চপর্যায়ের জ্বালানীর প্রয়োজন, তা তেহরান এবার আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারবে৷ তেহরান মনে করে এই মুহূর্তে তারা সেরকম অবস্থানে পৌঁছে গেছে৷ আর সেই কারণেই মোত্তাকি এসেছেন এই সম্মেলনে সে বিষয়ে কথাবার্তা চালাতে৷
প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা - রিয়াজুল ইসলাম