1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পররাষ্ট্র নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বাইডেনের

২৫ নভেম্বর ২০২০

ক্ষমতায এসে ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটাতে পারেন বাইডেন। মঙ্গলবার তাঁর প্রশাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাম জানা গিয়েছে।

https://p.dw.com/p/3lmgv
জো বাইডেন
ছবি: Mark Makela/Getty Images

সোমবার মার্কিন জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) চিঠি দিয়ে তাঁকে জানিয়েছিল ক্ষমতা হস্তান্তর দ্রুত শুরু হবে। মঙ্গলবারই নিজের প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তির নাম জানিয়ে দিলেন অ্যামেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যে নাম গুলি সামনে এসেছে, তার মধ্যে বেশ কিছু চমক আছে। পাশাপাশি বাইডেন এ দিন জানিয়েছেন, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগর-- পররাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনবে তাঁর প্রশাসন।

সব কিছু ঠিক থাকলে বাইডেন প্রশাসনে ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স মন্ত্রকের ডিরেক্টর হতে পারেন আভরিল হেইনস। এই প্রথম ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের দায়িত্ব পেতে পারেন কোনো নারী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিতে পাবেন আলেজান্দ্রো মেয়োরকাস। আলেজান্দ্রো দায়িত্ব গ্রহণ করলে তিনি হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রথম ল্যাটিনো প্রধান।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে যে তিনি গুরুত্ব দেবেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় থেকেই তা বলে আসছিলেন বাইডেন। বস্তুত, এ বিষয়ে ডনাল্ড ট্রাম্প খানিক উদাসীন ছিলেন। প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন তিনি। বাইডেন ট্রাম্পের সেই পদক্ষেপের নিন্দা করেছিলেন। বাইডেনের প্রশাসনে ফের গুরুত্ব পাবে জলবায়ু পরিবর্তন। এ বিষয়ে যাবতীয় কাজকর্মের জন্য তিনি দায়িত্ব দিতে পারেন জন কেরিকে। কেরি আগেই বলেছিলেন, জলবায়ু প্রসঙ্গে গোটা বিশ্বের এক মঞ্চে আসা উচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড হতে পারেন জাতিসংঘে অ্যামেরিকার প্রতিনিধি বা অ্যাম্বাসডার। কূটনৈতিক বুদ্ধির জন্য লিন্ডা অ্যামেরিকায় বিখ্যাত। লুসিয়ানার মানুষ লিন্ডা বাইডেনের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলে পরিচিত।

ট্রাম্প প্রশাসনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মাইক পম্পেও। গত চার বছর বার বার তাঁর মন্তব্য এবং কার্যকলাপ খবরের শিরোনামে এসেছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। বাইডেনের প্রশাসনে সেই দায়িত্ব সামলাতে পারেন অ্যান্টনি ব্লিনকেন। 

মঙ্গলবার বাইডেন জানিয়ে দিয়েছেন, ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে তাঁর নীতির কোনো মিল থাকবে না। বাইডেনের বক্তব্য, বিশ্বের দরবারে অ্যামেরিকা আবার আগের অবস্থানে ফিরবে। তাঁর মতে, ট্রাম্পের নীতি ছিল অ্যামেরিকা ফার্স্ট। অর্থাৎ, আগে অ্যামেরিকার কথা ভাবো, তারপর বিশ্বের। কিন্তু অ্যামেরিকার দীর্ঘ ইতিহাস তেমন নয়। অ্যামেরিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রধানরা বরাবরই বিশ্বের নেতা হয়ে উঠেছেন। বাইডেনও সে পথেই হাঁটতে চান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অ্যামেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন করে তৈরির প্রসঙ্গেও আলোচনা করেছেন বাইডেন। এবং সে কাজে ব্লিনকেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

বস্তুত, সোমবারই জার্মানিতে বৈঠকে বসেছিলেন যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বাইডেনের আমলে অ্যামেরিকার ইরান নীতি কী হবে এবং কী ভাবে পরমাণু ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তাঁরা। বোঝাই যাচ্ছে, ক্ষমতায় এসে এই বিষয়গুলি নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবেন বাইডেন।

তবে মঙ্গলবার এনবিসি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য করোনা সংকট থেকে দেশকে উদ্ধার করা। সে জন্য প্রথমেই টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

এ দিকে, জিএসএ সম্মতি দেওয়ার পর মঙ্গলবার থেকেই নিরাপত্তা সংক্রান্ত গোপন তথ্য তাঁর কাছে আসতে শুরু করেছে। আর্থিক বিষয়েও রিপোর্ট পেতে তিনি শুরু করেছেন। বাইডেনের অফিসের সূত্র জানাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন জানেট ইয়েলেন। যদিও এখনো তাঁর যোগদানের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এনবিসি)