1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাওয়া ঠিক হবে না, তবে...

১ আগস্ট ২০১১

জার্মানির বন শহরে ক’দিন আগে হয়ে গেল বাংলাদেশ বিষয়ক একটি সম্মেলন৷ বিষয় ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও জ্বালানি উন্নয়ন৷ সম্মেলনে বাংলাদেশি গবেষক ও বিজ্ঞানী ছাড়াও জার্মানি ও ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন৷

https://p.dw.com/p/1271e

সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো আলোচনা সাপেক্ষে জ্বালানি উন্নয়নে কীভাবে ভূমিকা রাখা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করা, বলেছেন ‘আইসিসিইবি ২০১১' নামক এই সম্মেলনের মহাসচিব ড. মাজহারুল ইসলাম৷

সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদেশের এখন সময় এসেছে বিকল্প জ্বালানি ব্যবহারের দিকে অগ্রসর হওয়ার৷ বিশেষ করে সৌরশক্তির ব্যবহারের উপর জোর দেয়ার কথা বলছেন তারা৷ বিজ্ঞানীরা বলেন, সৌরশক্তি সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনীয় সৌর প্যানেল ও অন্যান্য উপকরণ তৈরি বাংলাদে‌শেই সম্ভব৷ এতে করে সৌরশক্তি সংগ্রহের খরচ আরো কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, যা সৌরশক্তি ব্যবহারে সাধারণ মানুষকে আরো উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

Greenpeace Aktivisten hängen ein Anti-Atomkraft-Banner in Mexiko-City auf
ছবি: AP

সম্মেলনের মহাসচিব মাজহারুল ইসলাম কাজ করেছেন পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে৷ তাই তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম বাংলাদেশের পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাওয়া উচিত কিনা৷ তিনি বললেন, ‘‘প্রথমত না৷ কারণ আমি আমার দেশের পরিস্থিতি জানি৷ তাই ওদিকে যাওয়াটা ঠিক হবে না৷ কিন্তু যদি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর প্রশ্ন আসে তাহলে উত্তর হবে হ্যাঁ৷ তবে সেই সাথে বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যান্য উৎস নিয়েও কাজ করে যেতে হবে৷''

ইসলাম বলেন সৌরশক্তি, বায়ু, সমুদ্রের ঢেউ, বায়োমাস এসব দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরির সম্ভাবনার কথা বলেছেন অনেকে৷ কিন্তু এর মাধ্যমে কী বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব? উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘হ্যাঁ সম্ভব৷ কিন্তু এজন্য সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দরকার৷''

মাজহারুল ইসলাম বলছেন একটি বিশেষজ্ঞ দল এখন সদ্য সমাপ্ত সম্মেলনের সারসংক্ষেপ তৈরি করছেন যেটা কিছুদিনের মধ্যেই হয়ে যাবে৷ এরপর সেটা সরকারের কাছে জমা দেয়া হবে৷ তবে তিনি বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কী করণীয় সে সম্পর্কে সরকারের একটা অ্যাকশন প্ল্যান রয়েছে৷ এর বাইরে আর কী কী করা যেতে পারে মূলত সে বিষয়গুলোই তাদের সারসংক্ষেপে তুলে ধরা হবে বলে জানান ইসলাম৷

এছাড়া, প্রতি দুই বছর পরপর আইসিসিইবি সম্মেলন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন তিনি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম