1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজসুইডেন

পবিত্র কোরআন পোড়ানোর নিন্দায় মুসলিম দেশগুলি

৩০ জুন ২০২৩

আদালতের অনুমতি নিয়ে সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র প্রতিক্রিয়া হলো। তুরস্ক-সহ বহু দেশের নিন্দা।

https://p.dw.com/p/4TFkG
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দায় মুসলিম দেশগুলি।
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর তীব্র নিন্দায় মুসলিম দেশগুলি। ছবি: Stefan Jerrevång/TT NEWS AGENCY/picture alliance

স্টকহোমের মসজিদের বাইরে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে এক অভিবাসী ইরাকি যুবক ও তার সঙ্গী।তারপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েছে তুরস্ক-সহ গোটা মুসলিম বিশ্ব। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান কড়াভাবে বলেছেন, ''আমরা এই পশ্চিমাদের উচিত শিক্ষা দিয়ে বোঝাব, মুসলিমদের অপমান করাটা চিন্তার স্বাধীনতার মধ্যে পড়ে না।''

টেলিভিশন ভাষণে এর্দোয়ান বলেছেন, ''যতক্ষণ ইসলামোফোবিয়া এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে আমাদের জয় না হচ্ছে, ততদিন আমরা যতটা সম্ভব কড়া প্রতিক্রিয়া জানাব।'' তুরস্কের প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, ''সুইডেন সন্ত্রাসবাদীদের হাত ধরে চলছে। তারা কখনো তুরস্ক-বিরোধী, কখনো ইসলাম-বিরোধী, কখনো একসঙ্গে ইসলাম ও তুরস্ক-বিরোধী কাজ করে চলেছে।''

ইরাকে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বাগদাদে বিক্ষোভকারীরা সুইডেনের দূতাবাসের মধ্যে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, সুইডেন ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছে।

আমিরাত ও জর্ডন সুইডেনের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠিয়ে প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইরাক, ইরান, কুয়েত, জর্ডন, সৌদি আরব, আরব লিগ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার দেশে কোনো প্রতিবাদের অনুমতি সরকার দেয় না। কারণ, প্রতিবাদ করাটা সুইডেনে আইনি অধিকার। কোনো মানুষ প্রতিবাদ দেখাবেন কিনা, তা পুলিশ ঠিক করে। প্রশাসনে থাকা রাজনীতিবিদরা নন।

স্টকহোমের মসজিদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশ কোরআন পোড়াবার অনুমতি দেয়ায় তারা মর্মাহত। তারা আদালত ও পুলিশকে বলেছিলেন, মসজিদের সামনে নয়, অন্য জায়গায় প্রতিবাদ দেখানোর অনুমতি দেয়া হোক। মসজিদের সামনে যেন পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অনুমতি না দেয়া হয়। কিন্তু তাদের অনুরোধ রাখা হয়নি।

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)